চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ তানিন সুবহা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২ জুন) হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে তানিনকে দ্রুত আফতাবনগরের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেও সন্ধ্যার দিকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে রাতেই তাকে স্থানান্তর করা হয় পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার ভাই রমিম জানান, হঠাৎ তানিনের বুকে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এবং একাধিকবার বমি করার পর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
শাকিব খানকে কাছ থেকে দেখে যা শিখেছেন সাবিলা
শাকিব-সাবিলার লিচুর বাগানে ‘তাণ্ডব’ চলছে
তানিন সুবহার মা তাসলিমা বেগম দেশবাসীর কাছে মেয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার মেয়েটার জন্য সবাই দোয়া করবেন। ও যেন আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে ফিরে আসে।”
দীর্ঘদিন ধরে মিডিয়ায় কাজ করছেন তানিন সুবহা। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে। পরবর্তীতে নাটক এবং সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। ‘মাটির পরী’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। বর্তমানে তার অভিনীত একাধিক সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারাবন্দী ফারুক খান একা চলাফেরা করতে পারেন না
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন একা চলাফেরা করতে পারেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদনের শুনানিতে তাঁর আইনজীবী এ কথা বলেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মঙ্গলবার ফারুক খানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির হয়। তাঁর জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
শুনানিতে ফারুক খানের স্বাস্থ্যের ওপর কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবেদন তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফারুক খানকে সর্বশেষ ২০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। তখন তিনি একা একাই চলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক নজির তুলে ধরে ফারুক খানের আইনজীবী বলেন, কারাবন্দীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ফারুক খান সব সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিয়েছেন। জামিন দিয়ে তাঁকে সিএমএইচে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার এখতিয়ার এই ট্রাইব্যুনালের আছে।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ফারুক খানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। কারাগারে তাঁর চিকিৎসা চলছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলেনি, তাঁকে চিকিৎসা দিতে পারবে না। তবে বাইরের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসকের সেবা নিতে চাইলে, সেই সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
তখন মুস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে ফারুক খানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে চান। এ সময় ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন নির্ধারণ করেন।
শুনানির একেবারে শেষ পর্যায়ে ফারুক খানের আইনজীবী বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেখতে চান না। তাঁর এই কথার সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম একমত পোষণ করেন।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (মুস্তাফিজুর) বলেছেন, এটা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আদালত নয়; বিপ্লবের পরে নতুন আদালত। সেই কারণে এই আদালত অনেক বেশি ফেয়ার (ন্যায্য) হবে। আদালত এটার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আমরাও এর সঙ্গে একমত পোষণ করি।’
আরও পড়ুনসাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান গ্রেপ্তার১৫ অক্টোবর ২০২৪