মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও আন্দোলনকর্মী জিল সোবুল মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১ মে) মিনেসোটার নিজ বাড়িতে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৬৬ বছর বয়সী সংগীতশিল্পীর। গায়িকার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গায়িকার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার মুখপাত্র জন পর্টার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জিল ছিলেন মানবাধিকারের এক নিবেদিত কর্মী। তিনি সারা জীবন ন্যায়ের পক্ষে লড়েছেন। তার সঙ্গে কাজ করা ছিল দারুণ উপভোগ্য। আমি আমার এক ভালো বন্ধু হারালাম। তার কাজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে ১২টি অ্যালবাম মুক্তি দিয়েছেন গায়িকা। এর মধ্যে ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আই কিসড আ গার্ল’ দিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান জিল।
আজ শুক্রবারও একটি অনুষ্ঠানে গাওয়ার কথা ছিল জিলের। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেন তিনি। গায়িকার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন তার ভক্ত-অনুসারী থেকে শুরু করে তারকারা। ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লয়েড কোল লিখেছেন, ‘বেশি কিছু বলতে পারছি না। আমরা সবাই তাকে ভালোবাসতাম, সে-ও আমাদের ভালোবাসত।’
১৯৫৯ সালের ১৬ জানুয়ারি কলোরাডোতে জন্ম জিলের। ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘থিংস হেয়ার আর ডিফারেন্ট’। সবশেষ অ্যালবাম ‘নস্টালজিয়া কিলস’ বাজারে আসে ২০১৮ সালে।  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোন পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকছে, তা সুস্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।

এনসিপির এই নেতা বলেন, ঐকমত্য কমিশন যাদের আহ্বান করেছে, তারা দেশের শতভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। যদি এসব রাজনৈতিক দল জন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসতে পারত, তাহলে গণ–অভ্যুত্থানের আগে ৫৪ দল মিলে যে আন্দোলন করেছিল, সেটা ফলপ্রসূ হতো।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে এনসিপির পক্ষ থেকে তিনি এ কথা বলেন।

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে তিন ধরনের অংশীজন ছিল উল্লেখ করে আরিফুল ইসলাম বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে একটি স্টেকহোল্ডার, জনতা আরেকটি স্টেকহোল্ডার এবং সব শিক্ষার্থী মিলে আরেকটি স্টেকহোল্ডার ছিলেন। কিন্তু আলোচনায় শুধু রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।

জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু কোনো রাজনৈতিক দলের চেষ্টায় হয়নি উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, এখানে সব পেশাজীবী এবং জনতার অংশগ্রহণ ছিল, যাদের আসলে কোনো প্রতিনিধি নেই।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন দলকে কোনো একটি বড় দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কি না, সেটা নিয়ে তাঁর দল জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু একটি দলের বক্তব্যের প্রতি এসব দলের হ্যাঁ অথবা না–বোধক সমর্থন থাকে। যখনই বিপরীত কোনো মন্তব্য আসে, তখন সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করা হয়।

আজকের আলোচনায় জাতীয় সংসদে নারী আসন নির্ধারণের বিষয়ে এনসিপির মতামত তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই, নারীদের আসন ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। তবে পদ্ধতি এবং সংখ্যা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে।’

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে ছিলাম। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে অর্থবিল ও আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে বলে আমরা মত দিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ