তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে খুব একটা সরব উপস্থিতি নেই মোহাম্মদ রিজওয়ানের। এ কারণেই হয়তো পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না বলে তিনি ঠিক জানেন না, পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কী হচ্ছে।

এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরকার এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর দিয়েছে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভালোবাসার বিয়েই কাল হলো রিতুর

রিতু ও সাজ্জাদের ভালোবাসা পরিবার মেনে নিলে বছর দেড়েক আগে দুজনের বিয়ে হয়। কিন্তু সেই ভালোবাসায় কাল হলো যৌতুক। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রিতুর উপর চাপ দিতে থাকে সাজ্জাদ। তাকে মদদ দিতে থাকে শাশুড়ি আর দুই ননদ। এ জন্য শারীরিক নির্যাতনও সইতে হয়েছে তাকে। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে রিতু। কিন্তু গর্ভে ৮ মাসের সন্তান নিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। 

আজ বুধবার (২ জুলাই) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিতুর মৃত্যু হয়।

রিতুর শ্বশুড়বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে। তার মৃত্যুর পর স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিতুর বাবা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘রিতুর সঙ্গে সাজ্জাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা বিষয়টি মেনে নিয়ে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে দেই। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী, শাশুড়ী ও দুই ননদ রিতুর ওপর শারীরিক নির্যাতন করত। সোমবার সন্ধ্যায় যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে তারা। রিতু ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশীর ঘরে আশ্রয় নেয়। এ সময় তারা আমাদের খবর দিলে আমরা গিয়ে রিতুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হলো না।’’

‘‘যারা নির্যাতন চালিয়ে আমার মেয়ে ও গর্ভের বাচ্চাকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই,’’ বলেন রবিউল ইসলাম। 
 

বাদল//

সম্পর্কিত নিবন্ধ