ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল কারা, কে কার মুখোমুখি
Published: 2nd, July 2025 GMT
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও মন্তেরইয়ের মধ্যে ম্যাচ দিয়ে আজ শেষ হলো ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াই। এ ম্যাচে মন্তেরইকে ২–১ গোলে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড। যারা শেষ আটে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদের। আগামী শনিবার রাত ২টা মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
আজ বুধবার শেষ হওয়া নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে একাধিক অঘটনসহ দেখা মিলেছে বেশ কিছু নাটকীয় ঘটনার। শেষ ষোলোয় সবচেয়ে বড় অঘটন ছিল আল হিলালের কাছে ম্যানচেস্টার সিটি ও ফ্লুমিনেন্সের কাছে ইন্টার মিলানের হার।
ফলে শেষ আটে ইউরোপ থেকে টিকে রইল পাঁচটি দল। রিয়াল ও ডর্টমুন্ড ছাড়া টিকে থাকা অন্য তিন দল হলো পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখ ও চেলসি।
আরও পড়ুননতুন রাউলের গোল, শতভাগ সাফল্য নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল৪ ঘণ্টা আগেক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম চমক ছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর পারফরম্যান্স। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া চারটি ক্লাবের চারটিই উঠে এসেছিল শেষ ষোলোয়। কিন্তু এখান থেকে বাড়ি ফিরে গেছে দুটি ক্লাব।
চমকের আরেক নাম আল হিলাল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইভিএম কেনায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বাজারমূল্যের চেয়ে দশ গুণ বেশি দামে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। দেড় লক্ষ নিম্নমানের ইভিএম কেনায় সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতি বা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
বুধবার যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার। এ ছাড়া আরও তিন কর্মকর্তাকে ডাকা হলেও গতকাল হাজির হননি। তারা হলেন– নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক ও আইটি সিস্টেম কনসালট্যান্ট এ এইচ এম আব্দুর রহিম খান।
কে এম নূরুল হুদাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম, সরকারি আর্থিক বিধিবিধান লঙ্ঘন, কোনো সমীক্ষা ও টেন্ডার ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ইভিএম মেশিন ক্রয়ের অভিযোগ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনে গুণগত মানসম্পন্ন ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে কিনা এবং প্রতিটি ইভিএমের মূল্য সঠিক ছিল কিনা– দুদক এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ বের করে প্রতিবেদন তৈরি করবে। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ টিম এই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিন কর্মকর্তা ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ইসি ও মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।