‘দ্য কেরালা স্টোরি’ তারকা আদাহ শর্মা নাকে আঘাত পেয়েছেন। তার পরবর্তী অ্যাকশন ঘরানার সিনেমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে আহত হন এই অভিনেত্রী। নিউজ১৮ এ খবর প্রকাশ করেছে।
একটি সূত্র বলেন, “সিনেমার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নানচাক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন আদা শর্মা। মধ্যরাতে অনুশীলনের সময়ে তার নাকে আঘাত লাগে, এতে তার নাক ভেঙে গেছে।”
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে আদা শর্মা বলেন, “ব্যথা ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু সিনেমা চিরকালের। আমি এখন সত্যিই একজন অ্যাকশন নায়িকার মতো দেখতে। যে রাতে আঘাত পেয়েছি, পরের দিন একটি রোমান্টিক গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিং করেছি। ফোলাভাব লুকাতে আইস প্যাক ব্যবহার করি এবং প্রচুর মেকআপ ব্যবহার করেছিলাম।”
আরো পড়ুন:
ছেলের পরিচয়পত্রে কেন ধর্ম উল্লেখ করেননি বিক্রান্ত?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাতির সঙ্গে প্রমোদতরীতে ছুটি কাটাচ্ছেন তারা সুতারিয়া!
আদা শর্মার পরবর্তী সিনেমার বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। সূত্র বলছে, “আদা শর্মা এতে এমন কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করবেন যা আগে কখনো দেখা যায়নি। এই সিনেমা তার ‘কমান্ডো টু’, ‘কমান্ডো থ্রি’ এর কাজের চেয়েও বেশি কিছু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
মুম্বাইয়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা আদা শর্মার। ২০০৮ সালে ‘১৯২০’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এরপর কয়েক বছরের বিরতি নিয়ে নেন এই অভিনেত্রী। ২০১৪ সালে ‘হার্ট অ্যাটাক’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন আদা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন আদা শর্মা। এ তালিকায় রয়েছেন— ‘হাসি তো ফাঁসি’, ‘কমান্ডো টু’ প্রভৃতি। তবে ২০২৩ সালে মুক্তি পায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সিনেমা। বিতর্কিত এ সিনেমা মুক্তির পর আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জবি উপাচার্যের
মুসলিম সম্প্রদায়কে শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক একাডেমিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের মধ্যে আন্তঃসম্প্রদায়িক বিরোধ বেশি লক্ষ্য করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি একত্রিতভাবে কাজ করে, তাহলে অনেক সংকটের সমাধান সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ইরানের
এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি ইরানের ঐতিহাসিক বিপ্লব, বর্তমান মার্কিন-ইরান উত্তেজনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ইরান ইস্যুতে বিভিন্ন শক্তির ভূমিকা ও সম্ভাব্য পরিণতি নিয়েও তিনি মূল্যায়ন করেন।
তিনি বলেন, “ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ইরানকে ‘বিপদ’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কৌশলগত স্বার্থ মধ্যপ্রাচ্যে একত্রিত হয়েছে। তেল সম্পদ ও আঞ্চলিক আধিপত্য ধরে রাখতে ইরানকে ঘিরে সংকট তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “মার্কিন-ইসরাইলি চাপের বিপরীতে ইরান রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন পাচ্ছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন শক্তি সমীকরণ তৈরি করছে, যা পশ্চিমা আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।”
সতর্ক করে তিনি বলেন, “এই সংঘাত যদি যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে, তেলের বাজারে ধস নামতে পারে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
প্যানেল আলোচনায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “ইরানের ইসলামিক বিপ্লব-পরবর্তী সময় থেকেই ইসরাইলি আক্রমণের সূচনা। মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবিলা করতে হবে। ‘ইসরাইলি ফোবিয়া’র ভিত্তিতে মুসলমানদের আর দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।”
জিএসএসআরসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী