জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রংপুর-কুড়িগ্রামের পথে প্রান্তরে এন
Published: 2nd, July 2025 GMT
মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের শুরুটা রংপুরের সাতমাথা থেকে। গন্তব্য রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়ক ধরে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে।
দিনের শুরু বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর নগরীর সাতমাথা এলাকায় গণসংযোগ করতেই এক কৃষক তার গাছের পাকা কাঁঠাল পেড়ে আপ্যায়ন করান জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের এমন আতিথেয়তায় খুশি পথযাত্রায় আসা নেতৃবৃন্দরাও। সাতমাথার বালাটাড়ি এলাকায় প্রবেশকালে গণমানুষের সাথে কথা বলে ফের কুড়িগ্রাম অভিমুখী যাত্রা করেন তারা।
এই পদযাত্রায় উপস্থিত রয়েছেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেত্রী ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
গাছের কাঁঠাল পেড়ে এনসিপি নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন করছেন এক কৃষক।
পদযাত্রাকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দরা, জুলাই গণহত্যার বিচার, গণ পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান রচনা ও জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে দেওয়ার অধ্যায় ব্যাখ্যা করেন জনমানুষের কাছে।
একইসাথে এসব দাবি আদায়ে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে নিয়ে বৃহত্তর পদযাত্রার ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনের মূল লক্ষ্য একটি নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গঠন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে শহীদ আবু সাঈদের সমাধিস্থ পবিত্র ভূমি থেকে জুলাই পদযাত্রার সূচনা হয়। ‘নতুন দেশ গড়ার নতুন বন্দোবস্ত’ এই স্লোগানে রংপুর থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথম দিন গাইবান্ধা হয়ে রাত শেষে ফিরে আসে রংপুর নগরীতে। দ্বিতীয় দিনে যাত্রা করে কুড়িগ্রামের পথে।
ঢাকা/আমিরুল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদয ত র র ই পদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ: জোনায়েদ সাকি
এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমানের বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। কারণ, সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার সুযোগে একজন ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল।
শুক্রবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলের পর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ মন্তব্য করেন। নগরের খানপুর মেট্রো হলের সামনে থেকে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘মাথাল’ নিয়ে মিছিলটি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে নিতাইগঞ্জে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। সংবিধানে অনেক অধিকারের কথা বলা থাকলেও কার্যত এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ও ক্ষমতা এত দিন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। এ কথা শুরু থেকে বলে আসছে গণসংহতি আন্দোলন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরও আমরা কথা বলা থামাইনি। জুলাই সনদ তৈরিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। এখন দায়িত্ব জনগণের। চোর-লুটেরাদের ভোট দিলে তারা আবার ফাঁকফোকর খুঁজবে।’
জনগণের স্বার্থই গণসংহতি আন্দোলনের স্বার্থ বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি তাঁর দলের প্রতীক ‘মাথাল’ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা গত ১৬ বছর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই করেছেন, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের ওপর ভরসা রাখুন এবং মাথাল মার্কাকে বিজয়ী করুন।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তিনটি নির্বাচন করেছিল। এর মাধ্যমেই তারা সারা দেশে সহিংসতা শুরু করার ম্যান্ডেট পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যাকে লাশের নদীতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ‘এই শামীম ওসমান গং ত্বকীকে হত্যা করেছে। সাত খুন করেছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম ও মহানগর কমিটির সদস্য ফারহানা মানিক।