মাসব্যাপী জুলাই পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের শুরুটা রংপুরের সাতমাথা থেকে। গন্তব্য রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়ক ধরে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে। 

দিনের শুরু বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুর নগরীর সাতমাথা এলাকায় গণসংযোগ করতেই এক কৃষক তার গাছের পাকা কাঁঠাল পেড়ে আপ্যায়ন করান জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের এমন আতিথেয়তায় খুশি পথযাত্রায় আসা নেতৃবৃন্দরাও। সাতমাথার বালাটাড়ি এলাকায় প্রবেশকালে গণমানুষের সাথে কথা বলে ফের কুড়িগ্রাম অভিমুখী যাত্রা করেন তারা। 

এই পদযাত্রায় উপস্থিত রয়েছেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নেত্রী ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

গাছের কাঁঠাল পেড়ে এনসিপি নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন করছেন এক কৃষক।

পদযাত্রাকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দরা, জুলাই গণহত্যার বিচার, গণ পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান রচনা ও জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে দেওয়ার অধ্যায় ব্যাখ্যা করেন জনমানুষের কাছে। 

একইসাথে এসব দাবি আদায়ে আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতাকে নিয়ে বৃহত্তর পদযাত্রার ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলনের মূল লক্ষ্য একটি নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গঠন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে শহীদ আবু সাঈদের সমাধিস্থ পবিত্র ভূমি থেকে জুলাই পদযাত্রার সূচনা হয়। ‘নতুন দেশ গড়ার নতুন বন্দোবস্ত’ এই স্লোগানে রংপুর থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথম দিন গাইবান্ধা হয়ে রাত শেষে ফিরে আসে রংপুর নগরীতে। দ্বিতীয় দিনে যাত্রা করে কুড়িগ্রামের পথে।

ঢাকা/আমিরুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদয ত র র ই পদয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধন বললেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না

শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। আন্দোলনের সঙ্গে একত্বতা প্রকাশ করে শুরুতে সামাজিক মাধ্যমে, এরপর সশরীরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথেও সরব ছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে সেই সময় ও এই সময় নিয়ে কথা জানালেন এই অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে বাঁধন লিখেছেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই আন্দোলন আমাকে আশা দিয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা এক হয়েছিলাম এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্র নিজের জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করেছিল তার জনগণের দিকে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। রিয়া মণির মতো ছোট ছোট শিশুরা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝেই উঠতে পারেনি কেন জীবন দিচ্ছে!’ 

অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আন্দোলনের সময় আমরা এক হয়েছিলাম আমাদের অধিকার আর দেশকে ভালোবেসে। সেটা ছিল স্মরণীয় মুহূর্ত। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম ভালো কিছুর। আমি সেই আশা সব সময় বুকে ধারণ করেই চলব।’

এর আগে বেশ কয়েকবার নিজের বক্তব্য পরিস্কার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েন নি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের আনন্দের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা কখনোই জনগণের ভাষা বুঝবে না: বাঁধন
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে টার্গেট হামলা
  • ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • একটি পক্ষ তৈরি হচ্ছে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে: মির্জা আব্বাস
  • এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি: নাহিদ
  • জুলাই আন্দোলন ছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : বাঁধন
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে বাঁধন বললেন, সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না