সন্দেহজনক প্যাকেট, নিরাপত্তার স্বার্থে পন্ত–রাহুলদের হোটেলেই থাকতে বলা হয়েছিল
Published: 2nd, July 2025 GMT
বার্মিংহামে কয়েক ঘণ্টা পরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে ভারত। তবে ম্যাচের আগের দিন গতকাল খানিকটা অস্বস্তিতেই পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেটিও আবার নিরাপত্তাজনিত।
কাল বার্মিংহামের সেন্টেনারি স্কয়ারে একটি সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে হোটেলেই থাকতে বলা হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের হোটেল ছিল ঘটনাস্থলের একেবারে কাছেই। বিসিসিআইয়ের এক সূত্র ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বার্মিংহাম পুলিশ নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে সতর্কবার্তা প্রকাশ করার পরই খেলোয়াড়দের বাইরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এক্সে দেওয়া বার্তায় বার্মিংহাম পুলিশের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘সেন্টেনারি স্কয়ারে একটি সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া গেছে। বেলা ৩টার কিছু আগে আমাদের জানানো হয়। সতর্কতামূলকভাবে কিছু ভবন খালি করে দেওয়া হয়েছে। দয়া করে এলাকাটি এড়িয়ে চলুন।’
ভারতের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার হোটেলের আশপাশে, বিশেষ করে ব্রড স্ট্রিটে নিয়মিত ঘোরাঘুরি করেন। তবে ঘটনার সময় শুবমান গিলসহ আটজন খেলোয়াড় অনুশীলনে ছিলেন। বাকি ১০ জন হোটেলে বিশ্রামে ছিলেন।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্বস্তির খবর দেয় পুলিশ। সন্দেহজনক প্যাকেটটি বিপজ্জনক নয়, নিশ্চিত হওয়ার পর ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুনভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর: এশিয়া কাপ শুরু ৫ সেপ্টেম্বর, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ ৭ সেপ্টেম্বর১ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথমটিতে হেরেছে ভারত। এজবাস্টনে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিশ্চয়ই সিরিজে সমতা ফেরাতে চাইবে সফরকারী ভারত। কিন্তু এই মাঠে ভারতীয়দের টেস্ট-অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়।
এজবাস্টনে মোট ৮ টেস্ট খেলে ৭টিতে হেরেছে ভারত। এর মধ্যে ৩টি হার ইনিংস ব্যবধানে। ৮ টেস্টের ১৬ ইনিংসে মাত্র দুবার ভারতের সংগ্রহ ৩০০ ছুঁয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ভারতের জন্য।
আরও পড়ুনভারতীয় দলের বাংলাদেশ সফরে সায় নেই দিল্লির২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আসাদুজ্জামান নূরের চারটি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি জব্দের আদেশ
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ৪টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসাদুজ্জামান নূরের অর্জিত সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে তদন্তকালে তাঁর নামে পাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ যেন তিনি হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন, সে জন্য তা জব্দ ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে গত ৩০ জুলাই মামলা করেছে দুদক। তাঁর নামে ৪টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি রয়েছে। আরও রয়েছে তাঁর ১৬টি ব্যাংক হিসাব।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকায়। অথচ তাঁর অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানিয়েছে।
২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনআট মাসে ১৯২ একর জমি, ২৮ ভবন ও ৩৮ ফ্ল্যাট জব্দ ১৭ মে ২০২৫