রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব
Published: 2nd, July 2025 GMT
গুঞ্জন রয়েছে দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে এ বিষয়ে এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
সেখানে লেখেন, “দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর আমি কী করব—তা নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়িয়েছে। কিছু বন্ধু আমাকে জানিয়েছেন, প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর আমি নাকি কোনো শীর্ষ রাজনৈতিক দলে বা সদ্য প্রতিষ্ঠিত নতুন কোনো দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। সত্যি বলতে, আমি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি মোহগ্রস্ত ছিলাম না। সংসদ সদস্য বা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা হলে যে ধরনের জীবনযাপন করতে হয়, তা আমার পছন্দ নয়।”
“সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো জায়গায় রাজনীতিকদের জন্য সম্মানজনক ও আর্থিকভাবে লাভজনক, কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি যদি আপনি সৎভাবে করেন, তাহলে সেখানে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই।”
নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—দায়িত্ব শেষ হলে আমি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না, বরং আমি আবার সাংবাদিকতায় ফিরে যেতে চাই। আবার লেখালেখিতে সক্রিয় হতে চাই।”
“আমার মাথায় কয়েকটি বইয়ের ভাবনা আছে। চাইলে আমি আমার বাকি জীবনটা শুধু ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়েই লিখে কাটিয়ে দিতে পারি। আমি জীবনে এমন স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী রাজনৈতিক আন্দোলন আর দেখিনি।”
কিংবদন্তি মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও জীবনী লেখক রবার্ট ক্যারোর উদাহরণ দেন তিনি। রবার্ট ক্যারো তার পুরো জীবন ব্যয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের জীবনী লেখার পেছনে।
“সেভাবেই একজন লেখক চাইলে তার পুরো জীবন একটি বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের ওপর কাটিয়ে দিতে পারেন। (আমি জানি, কিছু মানুষ ‘বিপ্লব’ শব্দটি পছন্দ করেন না)।”
তিনি লেখেন, “তবে প্রশ্ন আছে আমার জীবনের এই পরবর্তী পর্যায়ে আমি কি নিরাপদ থাকব? গত কয়েক মাসে আমি বিপুল সংখ্যক হুমকি পেয়েছি—বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছ থেকে। তবে এসব হুমকি মূলত হতাশাগ্রস্ত কিছু মানুষের মুখের কথা, যারা জনগণের মাঝে শেষ জনপ্রিয়তাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।”
“আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি আমার জীবনের পরবর্তী ওই সময়ের জন্য,” বলেন প্রেস সচিব।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ বন হওয় র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।