গুঞ্জন রয়েছে দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে এ বিষয়ে এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন তিনি। 

বুধবার (২ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। 

সেখানে লেখেন, “দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর আমি কী করব—তা নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়িয়েছে। কিছু বন্ধু আমাকে জানিয়েছেন, প্রেস সচিবের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর আমি নাকি কোনো শীর্ষ রাজনৈতিক দলে বা সদ্য প্রতিষ্ঠিত নতুন কোনো দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। সত্যি বলতে, আমি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি মোহগ্রস্ত ছিলাম না। সংসদ সদস্য বা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা হলে যে ধরনের জীবনযাপন করতে হয়, তা আমার পছন্দ নয়।” 

“সিঙ্গাপুর বা ইউরোপের মতো জায়গায় রাজনীতিকদের জন্য সম্মানজনক ও আর্থিকভাবে লাভজনক, কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতি যদি আপনি সৎভাবে করেন, তাহলে সেখানে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই।” 

নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—দায়িত্ব শেষ হলে আমি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেব না, বরং আমি আবার সাংবাদিকতায় ফিরে যেতে চাই। আবার লেখালেখিতে সক্রিয় হতে চাই।” 

“আমার মাথায় কয়েকটি বইয়ের ভাবনা আছে। চাইলে আমি আমার বাকি জীবনটা শুধু ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ নিয়েই লিখে কাটিয়ে দিতে পারি। আমি জীবনে এমন স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী রাজনৈতিক আন্দোলন আর দেখিনি।” 


কিংবদন্তি মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও জীবনী লেখক রবার্ট ক্যারোর উদাহরণ দেন তিনি। রবার্ট ক্যারো  তার পুরো জীবন ব্যয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের জীবনী লেখার পেছনে।

“সেভাবেই একজন লেখক চাইলে তার পুরো জীবন একটি বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের ওপর কাটিয়ে দিতে পারেন। (আমি জানি, কিছু মানুষ ‘বিপ্লব’ শব্দটি পছন্দ করেন না)।”

তিনি লেখেন, “তবে প্রশ্ন আছে আমার জীবনের এই পরবর্তী পর্যায়ে আমি কি নিরাপদ থাকব?  গত কয়েক মাসে আমি বিপুল সংখ্যক হুমকি পেয়েছি—বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছ থেকে।  তবে এসব হুমকি মূলত হতাশাগ্রস্ত কিছু মানুষের মুখের কথা, যারা জনগণের মাঝে শেষ জনপ্রিয়তাটুকুও হারিয়ে ফেলেছে।” 

“আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি আমার জীবনের পরবর্তী ওই সময়ের জন্য,” বলেন প্রেস সচিব। 

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ বন হওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জবি উপাচার্যের

মুসলিম সম্প্রদায়কে শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক একাডেমিক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর তুলনায় মুসলমানদের মধ্যে আন্তঃসম্প্রদায়িক বিরোধ বেশি লক্ষ্য করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যদি একত্রিতভাবে কাজ করে, তাহলে অনেক সংকটের সমাধান সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ইরানের

এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে: ইরান

এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি ইরানের ঐতিহাসিক বিপ্লব, বর্তমান মার্কিন-ইরান উত্তেজনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক সংকট নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ইরান ইস্যুতে বিভিন্ন শক্তির ভূমিকা ও সম্ভাব্য পরিণতি নিয়েও তিনি মূল্যায়ন করেন।

তিনি বলেন, “ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ইরানকে ‘বিপদ’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকট তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কৌশলগত স্বার্থ মধ্যপ্রাচ্যে একত্রিত হয়েছে। তেল সম্পদ ও আঞ্চলিক আধিপত্য ধরে রাখতে ইরানকে ঘিরে সংকট তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “মার্কিন-ইসরাইলি চাপের বিপরীতে ইরান রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন পাচ্ছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন শক্তি সমীকরণ তৈরি করছে, যা পশ্চিমা আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।”

সতর্ক করে তিনি বলেন, “এই সংঘাত যদি যুদ্ধে রূপ নেয়, তাহলে গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে, তেলের বাজারে ধস নামতে পারে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

প্যানেল আলোচনায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “ইরানের ইসলামিক বিপ্লব-পরবর্তী সময় থেকেই ইসরাইলি আক্রমণের সূচনা। মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরাইলি আগ্রাসন মোকাবিলা করতে হবে। ‘ইসরাইলি ফোবিয়া’র ভিত্তিতে মুসলমানদের আর দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।”

জিএসএসআরসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক নাগরিক ঐক্যের
  • বন্দরে টিসিবি পন্য নিয়ে কারসাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা 
  • নাক ভেঙেছে আদাহর
  • জাবির গণিত বিভাগের ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর দাবি শিক্ষার্থীদের
  • ইবিতে ফের ছাত্রী হেনস্তাসহ নানা অভিযোগ এক শিক্ষকের বিরূদ্ধে
  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: সেই সব না-বলা কথা
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছি আমরা?
  • ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠলে কী খাবেন
  • শিয়া-সুন্নি বিভেদ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জবি উপাচার্যের