জার্মানে কারও বাল্যবিয়ে হলে আপনা-আপনিই ওই বিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়ার আইন রয়েছে। তবে বাস্তব চিত্র আলাদা। বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ জার্মান। সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর ধরা হয়। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই -তে এ সংক্রান্ত আইন পাস করা হয়। কিন্তু আইন করে কি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা গেছে?
জার্মানের নারী অধিকার গোষ্ঠী টেরে ডেস ফেমেস-এর গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘‘আইনটি কার্যকর হওয়ার পর সারা দেশে কমপক্ষে ৮১৩টি বাল্যবিবাহ নিবন্ধিত হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ১০টি বাতিল করা হয়েছে৷ এই আইন অনুযায়ী, কম বয়সের কারও বিয়ে দেয়া হলে আপনাআপনি বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা৷’’
টেরে ডেস ফেমেসের বিশেষজ্ঞ মনিকা মিশেল বলেন, ‘‘পরিসংখ্যানগুলো সংকলন করা খুব কঠিন ছিল৷ আমরা বিশ্বাস করি, পরিসংখ্যানগুলোর চেয়ে বাল্যবিবাহের আসল সংখ্যা আরও অনেক বেশি৷ আমাদের ধারণা হলো, প্রতি সপ্তাহেই জার্মানিজুড়ে বাল্যবিয়ে হচ্ছে৷’’
আরো পড়ুন:
কারাগারে নোবেলের বিয়ে
অপুকে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা না বলার আহ্বান জয়ের
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ