‘টুয়েলভথ ফেল’খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী শীতল ঠাকুরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পুত্রসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা। এ তারকা দম্পতির এটি প্রথম সন্তান। 

বিক্রান্ত ম্যাসি তার চিন্তাভাবনার জন্য বরাবরই আলাদা। কয়েক দিন আগে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিক্রান্ত জানালেন— ছেলে বর্ধনের জন্ম পরিচয়পত্রে ধর্ম উল্লেখ করেননি। বিক্রান্ত-শীতল যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

ছেলের পরিচয়পত্রে ধর্ম উল্লেখ করেননি বিক্রান্ত। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমরা ছেলের জন্ম পরিচয়পত্রে ধর্মের জায়গায় একটা ড্যাশ (-) দিয়েছি। কোনো সরকার জোর করে বলে না যে ধর্ম উল্লেখ করতে হবে। এটা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” 

আরো পড়ুন:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাতির সঙ্গে প্রমোদতরীতে ছুটি কাটাচ্ছেন তারা সুতারিয়া!

শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ভালো ছিল না: বাবা রামদেব

ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, “আমার কাছে ধর্ম মানে বিশ্বাস, একটা পথ। সেটা যে যার মতো বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। আমার পরিবারে সব ধর্মের ছাপ রয়েছে— আমার মা শিখ, বাবা খ্রিষ্টান, ভাই মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে।। অন্যদিকে, আমার স্ত্রী রাজপুত ঠাকুর পরিবার থেকে এসেছে। আমিও সব ধর্মের জায়গায় যাই। পূজা করি, দরগাতেও যাই, গুরুদ্বারায় গিয়েও মাথা ঝুঁকাই।” 

বিক্রান্তের চাওয়া তার সন্তান যেন মানুষ হয়। এ অভিনেতার ভাষায়, “সন্তানকে বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক করে তুলতেই এই পদক্ষেপ। আমরা সন্তানের নামকরণ করেছি ঠিকই। কিন্তু কোনো ধর্মীয় ছাঁচে ফেলিনি। আমার জীবনের সব সিদ্ধান্তে আমি চাই ও যেন আগে মানুষ হয়, পরে অন্য কিছু।” 

এতকিছুর পরও যদি পুত্র বর্ধন বড় হয়ে ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিচার করে তা হবে হাশাজনক। এ অভিনেতার ভাষায় “আমি যদি জানতে পারি আমার সন্তান কাউকে ধর্ম বা জাতপাত দেখে বিচার করছে, সেদিন সত্যিই কষ্ট পাব, ভেঙে পড়ব।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে

সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের দায় পরিশোধ হয়েছে ৫১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকায় নেমেছে। এর মানে এ পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঘোষণা দেন ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখা হবে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। তবে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে উল্টো ঋণ কমেছে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। প্রতি বছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও গত তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ উল্টো কমছে।

ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের বাইরেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে সরকার আরও ৪৬ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছর সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এ সময়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমালে কী হয়, মানুষ কেন চিন্তিত
  • কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্পসহ সাবেক এমপি শেখরের স্ত্রীর প্লট জব্দের আদেশ
  • সঞ্চয়পত্রের নতুন মুনাফার হার আজ থেকে কার্যকর
  • সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল, কী হবে মধ্যবিত্তের
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেলে যে যে অনলাইন সেবা
  • ঘুষ দিলে এনআইডির জটিল সংশোধনও হয় সহজে
  • সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে
  • সঞ্চয়পত্রে কমল মুনাফার হার