ছেলের পরিচয়পত্রে কেন ধর্ম উল্লেখ করেননি বিক্রান্ত?
Published: 2nd, July 2025 GMT
‘টুয়েলভথ ফেল’খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী শীতল ঠাকুরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পুত্রসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন তারা। এ তারকা দম্পতির এটি প্রথম সন্তান।
বিক্রান্ত ম্যাসি তার চিন্তাভাবনার জন্য বরাবরই আলাদা। কয়েক দিন আগে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বিক্রান্ত জানালেন— ছেলে বর্ধনের জন্ম পরিচয়পত্রে ধর্ম উল্লেখ করেননি। বিক্রান্ত-শীতল যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ছেলের পরিচয়পত্রে ধর্ম উল্লেখ করেননি বিক্রান্ত। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “আমরা ছেলের জন্ম পরিচয়পত্রে ধর্মের জায়গায় একটা ড্যাশ (-) দিয়েছি। কোনো সরকার জোর করে বলে না যে ধর্ম উল্লেখ করতে হবে। এটা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”
আরো পড়ুন:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাতির সঙ্গে প্রমোদতরীতে ছুটি কাটাচ্ছেন তারা সুতারিয়া!
শেফালির ‘হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’ ভালো ছিল না: বাবা রামদেব
ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে বিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, “আমার কাছে ধর্ম মানে বিশ্বাস, একটা পথ। সেটা যে যার মতো বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত। আমার পরিবারে সব ধর্মের ছাপ রয়েছে— আমার মা শিখ, বাবা খ্রিষ্টান, ভাই মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে।। অন্যদিকে, আমার স্ত্রী রাজপুত ঠাকুর পরিবার থেকে এসেছে। আমিও সব ধর্মের জায়গায় যাই। পূজা করি, দরগাতেও যাই, গুরুদ্বারায় গিয়েও মাথা ঝুঁকাই।”
বিক্রান্তের চাওয়া তার সন্তান যেন মানুষ হয়। এ অভিনেতার ভাষায়, “সন্তানকে বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক করে তুলতেই এই পদক্ষেপ। আমরা সন্তানের নামকরণ করেছি ঠিকই। কিন্তু কোনো ধর্মীয় ছাঁচে ফেলিনি। আমার জীবনের সব সিদ্ধান্তে আমি চাই ও যেন আগে মানুষ হয়, পরে অন্য কিছু।”
এতকিছুর পরও যদি পুত্র বর্ধন বড় হয়ে ধর্ম দিয়ে মানুষকে বিচার করে তা হবে হাশাজনক। এ অভিনেতার ভাষায় “আমি যদি জানতে পারি আমার সন্তান কাউকে ধর্ম বা জাতপাত দেখে বিচার করছে, সেদিন সত্যিই কষ্ট পাব, ভেঙে পড়ব।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রাম, জেএসসি ছাড়াও ভর্তি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এসএসসি প্রোগ্রামের মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় ২০২৬-২০২৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা জেএসসি পাস হতে হবে। জেএসসি ছাড়াদের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভর্তির দরকারি তারিখ—১. অনলাইনে ভর্তি এবং আবেদনের তারিখ শেষ তারিখ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৬।
২. অষ্টম শ্রেণি বা সমমানের সনদবিহীন ভর্তি-ইচ্ছুকদের ভর্তি পরীক্ষা : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাস শুরু : ১৫ মে ২০২৬।
ভর্তির যোগ্যতা—১. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণ হতে হবে। (ভর্তির তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
২. সরাসরি অনলাইন ভর্তির জন্য: osapsnew.bou.ac.bd
ভর্তির যোগ্যতা(জেএসসি ছাড়া) —১. যেসব শিক্ষার্থীর জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের সনদপত্র নেই তারাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৪ বছর (৩১/১২/২০২৫ তারিখে)।
২. এসব আবেদনকারীকে যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য বাউবি কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩. এ জন্য ভর্তির প্রাথমিক আবেদন ফরম ফি বাবদ ৩০০ টাকা দিতে হবে।
৪. ভর্তি পরীক্ষার বিষয়, মানবণ্টন, তারিখ ও পরীক্ষা কেন্দ্র এবং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য বাউবি’র ওয়েবসাইট, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং স্টাডি সেন্টার থেকে পাওয়া যাবে। (অনলাইনে আবেদনের তারিখ ০২/১১/২০২৫ থেকে ৩১/০১/২০২৬)।
প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে—১. দুই কপি ছবি।
২. জেএসসি বা জেডিসি বা অষ্টম শ্রেণি বা সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় পাস বা উত্তীর্ণের সনদ।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
ভর্তি ও অন্যান্য ফি—অনলাইন আবেদন ফি: ১০০ টাকা,
রেজিস্ট্রেশন ফি : ১০০ টাকা,
কোর্স ফি (প্রতি কোর্স ৫২৫ টাকা): ৩৬৭৫ টাকা,
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) ব্যবহারিক ফি: ১০০ টাকা,
একাডেমিক ক্যালেন্ডার ফি:৫ টাকা,
ডিজিটাল আইডি কার্ড ফি: ২০০ টাকা,
পরীক্ষা ফি (প্রতি কোর্স ৫০ টাকা) : ৩৫০ টাকা,
প্রথম বর্ষ নম্বরপত্র ফি : ৭০ টাকা,
মোট আবেদন ফি: ৪৬৯৬ টাকা।
বিজ্ঞান শাখার জন্য দুটি ব্যবহারিক কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. অষ্টম শ্রেণি বা সমমান পাসের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নাম এবং জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদত্ত সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী একই রকম হতে হবে।
২. জেএসসি বা জেডিসি পাসের ক্ষেত্রে জেএসসি বা জেডিসি সনদ অনুযায়ী হতে হবে। ২০২০ সাল কিংবা তার পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পাশ সনদে বা প্রমাণকে বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ থাকতে হবে। সনদবিহীনদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির শতকরা ৬০ ভাগ ছাড় পাবেন।
# বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট