ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা শেষ হয়েছে। ১৬ দল থেকে আট দল বিদায় নিয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আট দল। এর মধ্যে ইউরোপের ক্লাব পাঁচটি। ওই আট দল ৪ জুলাই থেকে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে।

ক্লাব বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা আট দল হলো- পালমেইরাস, আল হিলাল, পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখ, চেলসি, ফ্লুমিনেন্স, রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে দুই দল কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাসকে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ২-১ গোলে হারিয়েছে মেক্সিকান ক্লাব মন্টিরিকে। ডর্টমুন্ড গুইরেসির গোলে ১৪ ও ২৪ মিনিটে ২-০ গোলের লিড নেয়। ৪৮ মিনিটে এক গোল শোধ করে সের্গিও রামোসের মেক্সিকান ক্লাবটি।

কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী ৪ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স সৌদি আরবের আল হিলালের মুখোমুখি হবে। ম্যাচটি হবে অর্লান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে। ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় পালমেইরাস মুখোমুখি হবে ইউরোপের ক্লাব চেলসির। ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফাইন্যান্সিয়াল ফিল্ডে গড়াবে ম্যাচটি।

ওই দিনই মাঠে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি। ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় রাখা হয়েছে ইউরোপের দুই জায়ান্টের ম্যাচ। আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় রিয়াল মাদ্রিদ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড মুখোমুখি হবে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে খেলবে তারা।

কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্লুমিনেন্স ও আল হিলালের মধ্যকার জয়ী দল সেমিফাইনালে পালমেইরাস ও চেলসি ম্যাচের জয়ী দলের মুখোমুখি হবে। সেখান থেকে জয়ী এক দল যাবে ফাইনালে। যার অর্থ ফ্লুমিনেন্স, আল হিলাল, চেলসি ও পালমেইরাসের মধ্যে একদল ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে। অপর দল আসবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ডর্টমুন্ড এবং পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের মধ্য থেকে।

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সূচি (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী)

ফ্লুমিনেন্স - আল হিলাল     - ৪ জুলাই  - রাত ১টা       -  ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়াম
পালমেইরাস -চেলসি      -     ৫ জুলাই    -  সকাল ৭টা  - লিংকন ফাইন্যান্সিয়াল ফিল্ড
বায়ার্ন মিউনিখ - পিএসজি  - ৫ জুলাই  -  রাত ১০টা     - মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম
রিয়াল মাদ্রিদ - বরুশিয়া ডর্টমুন্ড - ৫ জুলাই - রাত ২টা   - মেটলাইট স্টেডিয়াম

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ফ ক ল ব ব শ বক প ক য় র ট র ফ ইন ল ক ল ব ব শ বক প র ব য় র ন ম উন খ ল দ শ সময় আল হ ল ল বর শ য় প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ