কক্সবাজারে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে ফুটবল ছোড়ার বিষয়ে যা জানা গেল
Published: 3rd, May 2025 GMT
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে এক তরুণের বল ছুড়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজারের সুগন্ধা সমুদ্রসৈকতের উত্তর পাশে সিগাল পয়েন্টে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।
১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকত থেকে ফুটবলটি পা দিয়ে উড়োজাহাজের দিকে ছুড়ে মারেন ওই তরুণ। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল, বলটি উড়োজাহাজের অবস্থান থেকে আরও ওপরে ওঠার পর নিচে পড়ে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও নিয়ে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। সাইফান হক নামের একজন লেখেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ করা উচিত। এটা ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, খেলার মাঠ নয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যাঁরা সৈকতে ঘুরতে যান, তাঁরা ফুটবল খেলা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন।’ রেজাউল করিম নামের আরেকজন লেখেন, ‘কাজটা ভালো হলো না। ফুটবলটা মারার কারণে বিমানটা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারত।’
বিনয় রিসোর্ট নামের একটি আইডি থেকে লেখা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর সমুদ্রের একদম কাছাকাছি। সমুদ্রসৈকত থেকে খুব নিচু দিয়ে বিমানকে উড়তে দেখা যায়। আসলে অবতরণের শেষ পর্যায়ে বিমান ২০০ থেকে ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকতে পারে। আর বল সর্বোচ্চ ৫০ ফুট ওপরে তোলা যায়।’ কামরুল হাসান নামের আরেকজন লেখেন, ‘বল যতটুকু উচ্চতায় উঠেছে, বিমান তার চেয়ে কয়েক শ গুণ বেশি উচ্চতা দিয়ে যায়। পাবলিকের কমেন্ট দেখে মনে হয়, এরা জীবনে কক্সবাজার আসেনি।’
জানতে চাইলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজ সাধারণত সমুদ্রসৈকতের ১ হাজার ৪০০ মিটার ওপর দিয়ে যায়। আবার অবতরণের সময় এক হাজার মিটার পর্যন্ত উঁচুতে থাকে। সে ক্ষেত্রে বালুচর থেকে ছুড়ে মারা ফুটবল বিমান পর্যন্ত আসার সুযোগ নেই। তবে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ড্রোন ওড়ানো, আকাশে আতশবাজি নিক্ষেপসহ নানা কার্যক্রম নিষিদ্ধ। উড়ন্ত বিমান লক্ষ্য করে ফুটবল ছুড়ে মারাসহ কোনো কিছু নিক্ষেপ করার বিষয়ে মানুষকে সতর্ক থাকা উচিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
আকাশে দুই উড়ন্ত গাড়ির সংঘর্ষ
গন্তব্য নির্বাচন করলেই যাত্রীদের নিয়ে উড়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে পারে উড়ন্ত গাড়ি। হেলিকপ্টারের আদলে খাড়াভাবে ওঠানামাও করতে পারে। ফলে রানওয়ের বদলে শহরের যেকোনো স্থানে যাত্রী ওঠানামা করা যায়। বাণিজ্যিকভাবে বাজারে না এলেও এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের তৈরি উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষা করে সফল হয়েছে। তবে সম্প্রতি চীনের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় শহর চ্যাংশুনে এয়ার শোর মহড়ায় মাঝ–আকাশে দুটি উড়ন্ত গাড়ি বা ফ্লাইং কারের সংঘর্ষ হয়েছে। চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা এক্সপেংয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সপেং অ্যারোএইচটির তৈরি গাড়িগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উড়ন্ত গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এক্সপেং অ্যারোএইচটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মহড়ার সময় দুটি উড়ন্ত গাড়ি একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এর মধ্যে একটি অবতরণের সময় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা সবাই নিরাপদে আছেন। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মীর বরাতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি গাড়ি মাটিতে পড়ে জ্বলছে এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এক্সপেং অ্যারোএইচটি জানিয়েছে, গাড়িটির ফিউজলাজে (গায়ের কাঠামোতে) গুরুতর ক্ষতি হয়ে আগুন ধরে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জরুরি ব্যবস্থা নেয়।
অ্যারোএইচটির তৈরি বৈদ্যুতিক উড়ন্ত গাড়িগুলো উল্লম্বভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণে করতে পারে। প্রতিটি গাড়ির সম্ভাব্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক্সপেং অ্যারোএইচটি জানিয়েছিল, ইতিমধ্যে তিন হাজার উড়ন্ত গাড়ির ফরমাশ পাওয়া গেছে।
গত বছর ইউরোপের একটি উড়ন্ত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিনেছে এক্সপেং অ্যারোএইচটি। এর মাধ্যমে ইউরোপের বাজারেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো উড়ন্ত গাড়ির বাজারেও নেতৃত্ব নিতে চায় চীন।
সূত্র: বিবিসি