ইসলামের মূল বৈশিষ্ট্য মধ্যপন্থা। কোরআন স্পষ্টভাবে বলছে, ‘আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যাতে তোমরা মানুষের ওপর সাক্ষী হও এবং রাসুল সাক্ষী হন তোমাদের ওপর।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৪৩)
আরবি শব্দ ‘ওসাত’ কয়েকটিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এর মানে হলো ন্যায়পরায়ণ, সঠিক, মধ্যপন্থী, পরিমিত ও শ্রেষ্ঠ। এই আয়াতটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে মুসলিমদের বিশ্বাস হলো যে আল্লাহ তাদেরকে একটি পরিমিত এবং মধ্যপন্থী জাতি হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছেন, যাতে তারা মানবতার জন্য একটি আদর্শ (সাক্ষী) হতে পারে। তাহলে ইসলামে মধ্যপন্থা আসলে কেমন?
তিনজন ব্যক্তি নবীজি (সা.
নবীজি (সা.) তাঁর সাহাবিদের সবকিছুর মধ্যে পরিমিতি অনুসরণ করতে সব সময় উৎসাহিত করেছেন। যখন দুটি বিকল্প দেওয়া হতো, তিনি সব সময় সহজতমটি বেছে নিতেন, যদি তা ইসলামের নিয়মের পরিপন্থী না হয়।
নবীজি (সা.) ইসলামের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই এই দীন সহজ। কেউ এই দীনের সঙ্গে কঠোরতা করতে চাইলে, তা তাকে পরাভূত করবে। অতএব তোমরা সঠিক পথে থাকো, মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো, আনন্দিত হও এবং সকাল-সন্ধ্যার কাজে ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৯; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৮১৬)
হাদিসের শব্দগুলোর দিকে লক্ষ করুন:
ইসলামের সহজ প্রকৃতি: ‘দীন সহজ’ বাক্যটি ইসলামের মূলনীতির একটি প্রকাশ। ইসলাম মানুষের সামর্থ্যের বাইরে কোনো কঠিন বিধান আরোপ করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান, কঠিন নয়।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
কঠোরতার পরিণাম: যে ব্যক্তি দীনকে অতিরিক্ত কঠিন করতে চায়, সে নিজেই ক্লান্ত ও পরাভূত হবে। এটি অতিরঞ্জন থেকে সতর্ক করে।
মধ্যম পন্থা: ‘সঠিক পথে থাকো এবং নিজের সাধ্যের মধ্যে আমল করো।’ এটি ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়।
আনন্দিত থাকা: ‘আনন্দিত থাকো’, শব্দটি মুমিনদের আশাবাদী ও ইতিবাচক থাকার নির্দেশ দেয়, কারণ আল্লাহর রহমত অসীম।
ইবাদতের মাধ্যমে সাহায্য: সর্বশেষে বলা হয়েছে, ‘সকাল, সন্ধ্যা ও রাতের কিছু সময়ে নামাজ ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও।’ এটি নিয়মিত ইবাদতের গুরুত্ব তুলে ধরে।
আরও পড়ুনসুরা ইয়াসিনের সার কথা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫পরিমিতি অনুসরণ করুন। আল্লাহ যা মুসলিমদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন, তা অত্যধিক বা অসহনীয় নয়। আল্লাহর একত্বের বিশ্বাস, তাঁর প্রতি প্রার্থনা এবং স্মরণ, অন্যদের প্রতি ভালো ব্যবহার—এইগুলোই আল্লাহর বান্দাদের ওপর মৌলিক দৈনিক দায়িত্ব (এ ছাড়া আরও কিছু দায়িত্ব, যেমন রমজান মাসের রোজা, যা বার্ষিক হয়) যা আল্লাহ তাঁদের ওপর দিয়েছেন। যখন মুসলিমরা এই দায়িত্বগুলো ছাড়াও আরও কিছু বাড়াতে চান, তখন তাদের নবী (সা.)-এর প্রজ্ঞা মনে রাখা উচিত, যিনি বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি শুধু তার ভালো কাজের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘এমনকি আপনি নয়?’ নবীজি (সা.) উত্তর দিলেন, ‘এমনকি আমিও না, যদি না আল্লাহ তাঁর দয়া ও রহমত আমাকে দান করেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪৬৭)
আবার আয়েশা (রা.) তাঁকে প্রশ্ন করলেন যে কোন কাজ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়, তিনি বললেন, ‘যে কাজগুলো নিয়মিত এবং ধারাবাহিকভাবে করা হয়, এমনকি যদি তা একটু কমও হয়।’ তারপর তিনি বললেন:
‘তুমি যা পারো তা করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৬৪; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৭৮২)
আরও পড়ুনআল্লাহর কাছে যে দোয়া করেছিলেন নবী সোলায়মান (আ.) ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সবশেষে তিনি বলেন, ‘ভালো কাজগুলো সঠিকভাবে, সৎভাবে এবং পরিমিতভাবে করো। সব সময় একটি মাঝারি, পরিমিত, নিয়মিত পথ গ্রহণ করো, যাতে তুমি তোমার লক্ষ্য (জান্নাত) অর্জন করতে পারো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৬৭)
এই নীতিগুলো অনুসরণ করলে, একজন মুসলিম যখন তার ইবাদত বাড়াতে চান, তখন তাকে ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে, ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি একটু একটু করে অন্যান্য ইবাদত যোগ করতে হবে এবং ধারাবাহিকভাবে তা করতে চেষ্টা করতে হবে। বাস্তবিকভাবে তার ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং নিজের ওপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো উচিত হবে না। তখন ইসলাম পালন হবে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা থেকে, শুধু বাধ্যতা থেকে নয়।
ডিসকভারিং ইসলাম আর্কাইভ থেকে
আরও পড়ুনইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরামের ফজিলত১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহ হ ব খ র আল ল হ ত দ র ওপর ইসল ম র পর ম ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে অব্যবহৃত বোমা ফেলা হতো গাজায়
ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো অব্যবহৃত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র অবতরণের আগে গাজায় নিক্ষেপ করত। দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর প্রথম প্রহর থেকেই তেল আবিবে ফেরার পথে অবশিষ্ট গোলাবারুদ হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাইলটরা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কমান্ডারদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। তারা যুদ্ধবিমানগুলোর অবশিষ্ট লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন গাজাকে। এ কারণে ইরানের সঙ্গে যে ১২ দিনের লড়াই চলাকালে গাজায়ও ব্যাপক বিমান হামলা ও প্রাণহানি ঘটে।
সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমা ফেলার বিষয়টিকে আবারও সামনে এনেছে। এসব বোমায় নিহত প্রায় সবাই বেসামরিক নাগরিক; বিশেষ করে নারী ও শিশু।
আইডিএফের মূল লক্ষ্য ইরানে স্থানান্তরিত হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় তার বিমান হামলার তীব্রতা অনেকাংশে বজায় রাখতে সক্ষম হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, প্রাথমিকভাবে এ নিয়ে পরিকল্পনা থাকলেও এসব হামলা যথাযথভাবে পরিকল্পিত ছিল না; এগুলো ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’তেও আঘাত হানেনি।
গত ১৪ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ইরানে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ পরিচালনা করে ইসরায়েল। এ সময় আন্তর্জাতিক দৃষ্টি তেহরানেই নিবদ্ধ ছিল। তবে সময়টি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জন্যও ছিল তীব্র রক্তক্ষয়ী। তখন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেও ব্যাপক গুলিবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। বিমান হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে সামগ্রিকভাবে ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্রে গুলিবর্ষণসহ বিমান হামলায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা শত শত।
গত ১৮ জুন বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে আইডিএফ বিমান হামলায় এক নারী ও তাঁর শিশুসহ ১০ জন নিহত হন। আল-আত্তারের একটি তাঁবুযুক্ত এলাকায় খান ইউনিসে একই দিনে একটি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, আইএএফ কমান্ডার মেজর জেনারেল তোমের বার গোলাবারুদ অবশিষ্ট আছে– এমনটা জানতে পেরে তা ব্যাপকভাবে গাজায় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
৬১৩ ত্রাণপ্রত্যাশীকে হত্যা, জানাল জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বলছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কথিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-জিএইচএফ গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ৬১৩ জনকে হত্যা করেছে। জিএইচএফের বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্র এবং এর ‘মানবিক’ কনভয়ের কাছাকাছি অথবা উভয় স্থানেই ক্ষুধার্ত এ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হয়। এ পরিসংখ্যান গত ২৭ জুন পর্যন্ত। এরপর আরও ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আলজাজিরা জানায়, মৃতের সংখ্যা ৬৫০ জনেরও বেশি। আর ৪ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের বারণ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে গাজায় গত মে মাসের শেষ দিকে অস্ত্র হাতে ত্রাণ বিরতণ শুরু করে জিএইচএফ। জাতিসংঘ বলছে, যে প্রক্রিয়ায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে, তা নিরপেক্ষ নয়। আর মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ পদক্ষেপকে ‘মানুষ হত্যার কসাইখানা’ বলে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়ে আসছে।
গাজার একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, তারা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রমাণ রেকর্ড করেছেন। এ কেন্দ্রগুলোতে ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কিছু ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলের স্নাইপাররা গুলি করে। অন্যরা সাহায্যপ্রার্থী পরিবারগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়।
আরও ১৩৮ জন নিহত
গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় আরও ১৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫২ জন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস, আল-মাওয়াসি উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ী তাঁবুতে ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় ১৫ জন নিহত হন। এক সময় ইসরায়েল কর্তৃক এটাকে তথাকথিত ‘মানবিক নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছিল। এখন সেই ‘নিরাপদ অঞ্চলকেই’ সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ করে তুলেছে তারা।
হামলায় ফিলিস্তিনি ফুটবল তারকা নিহত
মিডল ইস্ট আই জানায়, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৫৭ হাজার ২৬৮ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫-এর বেশি। গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি ফুটবল তারকা মুহান্নাদ ফাদল আল-লেই নিহত হন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে মধ্য গাজার আল মুগাজি শরণার্থী শিবিরে হামলায় তিনি আহত হন। তিনি ফিলিস্তিনের জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। এ নিয়ে ইসরায়েল ২৬৫ ফিলিস্তিনি ফুটবলারকে হত্যা করল।
যুদ্ধবিরতি বিবেচনা করছেন হামাস নেতা
চলমান পরিস্থিতিতে হামাস নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবিত চুক্তি বিবেচনা করছেন। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন গতকাল শুক্রবার জানায়, হামাস নেতারা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছেন। তবে তারা আরও দৃঢ় নিশ্চয়তা চান যে, এ যুদ্ধবিরতি ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ঘটাবে।
হামাস কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার জন্য মিলিত হন। পরে এক বিবৃতি জারি করে নিশ্চিত করেন যে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া ঘোষণার আগে অন্য ‘ফিলিস্তিনি দলগুলোর’ সঙ্গে কথা বলছেন।
মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তীব্র মানবিক সংকট আরও খারাপ হয়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি মেনে নিয়েছে।
ইসরায়েলের আরেক সেনা নিহত
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, গাজায় তাদের আরেক সেনা নিহত হয়েছেন। আসাফ জামির নামে ১৯ বছর বয়সী ওই সেনা সদস্য দক্ষিণ গাজায় নিহত হন। আহত হয়েছেন দু’জন। আলজাজিরা জানায়, গাজায় এ পর্যন্ত ৮৮০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হন ৩২০ জন।