পাকিস্তানে ভারতের হামলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটা দুঃখজনক।”

ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “আমরা ঠিক ওভাল অফিসে প্রবেশ করার সময় এই খবর পেলাম।”

ট্রাম্প বলেন, “আমি শুধু আশা করি, এটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাক।”

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে: ভারত

ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

৭ মে রাতে বিবিসির খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে হামলায় হতাহতের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে দুই দেশ যুদ্ধে জড়াক, তা তিনি চাননি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্পের প্রতিনিধি। অবশেষে পাকিস্তানে হামলা চালাল ভারত।

বিবিসি লিখেছে, ভারত সরকার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে অবশ্য বলা হয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের ৫টি স্থানে আঘাত করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন লিখেছে, ৭ মে গভীর রাতে ভারতের এই হামলায় পাকিস্তানের অন্তত তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

বিবিসি লিখেছে, ভারত সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার লক্ষ্য পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবস্থিত ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও হামলা পরিচালিত হচ্ছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। এই হামলায় পাকিস্তানের দায় দেখছে ভারত। নয়াদিল্লির অভিযোগ, সন্ত্রাসীদের মদদ দেয় ইসলামাবাদ। এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

সেই থেকে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই উত্তেজনার মধ্যেই ৭ মে গভীর রাতে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে হামলা করল ভারত। এখন পাকিস্তান কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় বা জবাব দেয়, তারপর ওপর নির্ভর করছে বাকিটা।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সালথার ১৬ বছর পর বিএনপির সম্মেলন, নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগমীকাল রোববার সালথা উপজেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিষয়টি ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

জানা গেছে, কর্মী সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলারের সভাপতিত্বে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য মো. আমিনুর রহমান মুসা।

এদিকে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। পদের জন্য নেতারা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে লবিং শুরু করেছেন, আবার অনেকেই গণসংযোগে ব্যস্ত। কর্মীরা তাদের নেতার সমর্থনে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রচার-প্রচারণা।

কর্মী সম্মেলন সফল করতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। 

সালথা উপজেলা গঠনের পর দুইবার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও তা সালথা উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই কর্মী সম্মেলন নেতাকর্মীদের মাঝে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সবার মাঝে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।

বিএনপির সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য সভাপতি প্রার্থী রয়েছেন-সালথা উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান হুমায়ুন খা, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান মুন্নু, হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. ফরিদুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখযোগ্য সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সালথা উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. জাহিদুল হাসান লাভলু, মো. রাশেদ মিয়া, ফরিদপুর জেলা যুবদলের নেতা এডভোকেট আজিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।

কর্মী সম্মেলন নিয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে সালথায় এই প্রথম আমরা কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছি। কর্মী সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখতে পারছি। কর্মী সম্মেলনে আমাদের সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি রয়েছে। আমি নেতাকর্মীদের বলবো, দক্ষিণবঙ্গের অগ্নিকন্যা শামা ওবায়েদ আমাদের অহংকার। কোন ক্রমেই যেন সম্মেলন ঘিরে কোন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. আছাদ মাতুব্বর জানান, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমাদের সকলের কাঙ্ক্ষিত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকল মতের ঊর্ধ্বে আমাদের নেত্রী শামা ওবায়েদের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগামীকালকের সম্মেলন সফল করতে হবে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বলবো, আপনারা সবাই সুশৃঙ্খলভাবে এই কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে সাফল্যমণ্ডিত করবেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদের মত আনন্দ বিরাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ