হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট তৈরি করে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন খুলনার রাকিব হাসান। ‘ফ্যামিলি এন্টারটেইনমেন্ট বিডি’ নামে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে এসব কনটেন্ট প্রকাশ করে থাকেন।

সমকালীন নানা বিষয়কে উপজীব্য করে কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন রাকিব ও তার টিম। তারই ধারাবাহিকতায় তৈরি করেছেন ‘পার্টি অফিস’ নামে একটি নাটক। এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন রাকিব হাসান ও তার ভাই খায়রুল ইসলাম জিসান। নাটকটি প্রকাশের পর অন্তর্জালে সাড়া ফেলেছে; যা এখন রীতিমতো ভাইরাল।

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের গল্প নাটকটিতে বলা হয়েছে। “যে বাগানে ভ্রমর আসে না, সে বাগানে ফুলও ফুটে না, আমার এ দলটা নেতাতে ভরা, কেউ দুর্নীতি করে না”— এই স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করেন ফজলু ভাই। একের পর এক ব্যবসায় লোকসান করে ফজলু বুঝতে পারেন, এখন সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা রাজনীতি। তাই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করেন। আর দলের প্রেসিডেন্টও হন। এরপর অনুসারীদের নিয়ে শহরে হেঁটে বেড়িয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের জানান দেন ফজলু। গল্পে যেমন বাস্তব চিত্র তুলে এনেছেন, তেমনি তাদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দর্শকদের বিনোদিত করেছে।

আরো পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর, পোশাক বিতর্ক নিয়ে যা বললেন মিম

সুগার ড্যাডি ছাড়া এত টাকা কামানো সম্ভব না: ফারিয়া

গত ৩ মে ইউটিউব ও ফেসবুকে প্রকাশিত হয় নাটকটি। এ পর্যন্ত ইউটিউবে নাটকটির ভিউ ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে। আর ফেসবুকে ১৭ মিলিয়ন। নাটকটি দেখে নেটিজেনরাও তাদের ভালো লাগার কথা প্রকাশ করেছেন। আরাফাত লেখেন, “ভাইরে ভাই, হাঁটার স্টাইলটা সেই! হাঁটা দেখছিলাম বারবার আর আদু ভাইকে মিস করছিলাম।” আরেকজন লেখেন, “নতুন দলের অবস্থা। ধন্যবাদ এমন ভিডিও উপহার দিবার জন্য।”

আবু উবায়দা লেখেন, “দেশের চলমান ঘটনা নিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাইকে। অনেক সুন্দর হয়েছে ভিডিওটি।” আশরাফুল ইসলাম লেখেন, “কঠিন হইছে। বাস্তব কাহিনি নিয়ে গড়া।” কমেডিয়ান দিলদারের সঙ্গে তুলনা করে সলিম নামে একজন লেখেন, “এরা তো দিলদার, এটি এমের চাইতেও মারাত্মক।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।

রাকিব হাসানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা খুলনায়। তবে তার বাবার বাড়ি বরিশালে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ‘ফ্যামিলি এন্টারটেইনমেন্ট বিডি’র যাত্রা শুরু করেন। বর্তমানে এ পেজের অনুসারী সংখ্যা ৩১ লাখ। ইউটিউবে ৪৬ লাখের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টক ন র জন ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে থাকা লালনের গানের পাণ্ডুলিপি ফেরত চাইলেন কুষ্টিয়ার ডিসি

কুষ্টিয়ার আশ্রম থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি ভারতের কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন শিলাইদহের তৎকালীন জমিদার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  ঐতিহাসিক সেই গানের পাণ্ডুলিপি বর্তমানে দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার ভোলপুর শহরে অবস্থিত শান্তি নিকেতন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছিলেন লালন ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও গবেষকরা। তবে তা ফেরত পাওয়া যায়নি। 

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন একাডেমিতে পাণ্ডুলিপিগুলো ফেরত চেয়েছেন। এ জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ আবেদন পাঠানো হয়েছে।

লিখিত আবেদনে ডিসি উল্লেখ করেছেন, কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন আশ্রম থেকে লালন শাহের গানের একটি খাতা কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার শিলাইদহের তৎকালীন জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যা বর্তমানে শান্তি নিকেতনে সংরক্ষিত আছে। প্রায় ১৩৫ বছরের পুরোনো উক্ত খাতায় লালন শাহের ৩১৪টি গান রয়েছে। ইতোপূর্বে শান্তি নিকেতন থেকে লালন শাহের গানের পাণ্ডুলিপির একটি অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও, মূল পাণ্ডুলিপি সেখানেই রয়ে গেছে। 

প্রতি বছর লালন তিরোধান দিবস ও লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে লক্ষ লক্ষ দেশ-বিদেশি লালন ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও লালন গবেষকদের আগমন ঘটে। তাদের সবার পক্ষ থেকে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে ফেরত আনার দাবি উঠেছে। তদুপরি সরকার ১৭ অক্টোবর লালন তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় লালন তিরোধান দিবসের গুরুত্ব আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভক্ত, অনুরাগী, অনুসারী ও লালন গবেষকদের দাবির প্রেক্ষিতে লালন গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে সংগ্রহ করে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। 

এমতাবস্থায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের গানের মূল পাণ্ডুলিপি শান্তি নিকেতন থেকে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াস্থ লালন একাডেমিতে ফেরত এনে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, “লালনের ৩১৪টি গানের মূল পাণ্ডুলিপি ফেরত আনার জন্য আমরা সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি। আমরা কলকাতা থেকে সেগুলো দ্রুত কুষ্টিয়ায় ফেরত আনতে চাই। এ জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।” 

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ