বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাকিবকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে সংগঠনের মুখপাত্র রাশেদা বেগম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ, সহিংস কার্যক্রম, মামলা বাণিজ্যে জড়ানো এবং ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট’ বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এনামুল হক সাকিবকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এতে আরো বলা হয়, আদর্শবিরোধী ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির জন্য এ সংগঠনে কোনো স্থান নেই। প্রতিটি স্তরে শুদ্ধি, জবাবদিহি ও আদর্শের বিজয় নিশ্চিত করতে সংগঠন বদ্ধপরিকর। শুদ্ধি অভিযানের এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ায় ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রির চেষ্টা, কৃষক দল নেতা বহিষ্কার

বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক সাকিব হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 

ঢাকা/মামুন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে পরকীয়া প্রেমিকের হাতে নারী খুন

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামে তৃপ্তি রাণী (৪০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে তৃপ্তি রানী মাঠে ঘাস কেটে বাড়িতে ফেরার পথে শংকর নামের এক স্থানীয় যুবক তৃপ্তি রানীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

প্রথম স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা

যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিলেন স্বামী

তৃপ্তি রানী উপজেলার কৃষ্ণবাটি দক্ষিণ পাড়ার অবনিশ মল্লিকের স্ত্রী। অভিযুক্ত শংকর নিহতের প্রতিবেশী। হত্যাকাণ্ডের পরে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। 

তৃপ্তি রানী পরকীয়ার জের ধরে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কৃষ্ণবাটি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সাধন দাস বলেছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ ভ্যানচালক। এই দম্পতির একটি সন্তান আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক নারীর সঙ্গে মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তৃপ্তি। পথে শংকর তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে হাতে থাকা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তির ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তখন তৃপ্তির সঙ্গে থাকা নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও হত্যার ভয় দেখায় শংকর। 

সাধন দাস বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত তৃপ্তি রাণীকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে স্বজনরা তৃপ্তিকে নিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় নড়াইলে পৌঁছালে পথেই তৃপ্তির মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃপ্তির সঙ্গে শংকরের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন ছিল। একপর্যায়ে শংকর তৃপ্তিকে ঘরে তুলতে চান। তখন তৃপ্তি শংকর কাছে তার ভিটাবাড়ি দাবি করেন। শংকর তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তৃপ্তিকে খুন করেছে শংকর। 

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেছেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে শংকর নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি রানীকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে তৃপ্তি মারা যান। গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শংকর পলাতক আছে। 

ঢাকা/রিটন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ