অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘ভারত থেকে এভাবে পুশ–ইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়। আমরা এরই মধ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খলিলুর রহমান এ মন্তব্য করেন। খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রাম জেলা সীমান্তে ভারত থেকে নাগরিকদের পুশ–ইন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশ–ইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।’

এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’

পররাষ্ট্রসচিব পরিবর্তন হচ্ছেন কি না জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘সে রকম কিছু হলে তো আপনারা জানবেন।’

প্রসঙ্গত আজ (৭ মে) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ ভারতীয় নাগরিক ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ রোহিঙ্গাকে পুশ–ইন করার খবর পাওয়া গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা

ঝিনাইদহে এলজিইডি কার্যালয়ের ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন শামিম হোসেন মোল্লা নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা। বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ব্যক্তির প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
শামিম হোসেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এলজিইডি কার্যালয়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সদর থানার হেফাজতে আছেন।

শামিম হোসেন মোল্লার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বাবা সাব্দার হোসেন মোল্লা উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম হোসেন মোল্লা এলজিইডির ঠিকাদার। তাঁর কয়েক বছর আগে শেষ করা কাজের বিল পাওনা রয়েছে। সেই বিল নিতে তিনি বুধবার দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে এসেছিলেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা সেখানে আসেন। পরে ১০-১৫ জন জড়ো হয়ে শামিম হোসেনকে মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে শামিম হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর থানার পুলিশের হেফাজতে আছেন। ওসি জানান, তাঁর নামে সদর থানায় কোনো মামলা নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু হুরায়রা সাংবাদিকদের বলেন, শামিম মোল্লা শৈলকুপায় ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে অনেক মিছিল–মিটিং করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব খাটিয়ে নিজে নিয়ে কাজ করতেন। তিনি অন্য কাউকে কাজ করতে দিতেন না। আজ দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে দেখা যায়। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে জনতা তাঁকে মারধর করে। শৈলকুপার কিছু লোক আগের ক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ