প্রাক্তন দীপিকার সন্তান নিয়ে কী বললেন রণবীর?
Published: 8th, May 2025 GMT
বলিউডের তারকা জুটি রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন। রুপালি পর্দার নয়, তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রেম বলিপাড়ায় খোলা বইয়ের মতো ছিল। সেই প্রেম ভেঙে গেছে। এরপর রণবীর সিংকে বিয়ে করেন দীপিকা, আর আলিয়াকে বিয়ে করে থিতু হন রণবীর কাপুর। তারা দুজনেই এখন বাবা-মা।
করন জোহর সঞ্চালিত ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানের পঞ্চম সিজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন রণবীর কাপুর এবং রণবীর সিং। সেখানে সঞ্চালক রণবীর কাপুরের কাছে জানতে চান দীপিকার সঙ্গে আপনার বর্তমান সম্পর্ক কেমন?
এ প্রশ্নের জবাবে রণবীর কাপুর বলেন, “আমরা দুজনই ইতিবাচকভাবে নিজেদের জীবনে এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের ভেতর এখন আর অস্বস্তিকর কোনো অনুভূতি নেই। আমরা এখন ভালো বন্ধু।”
আরো পড়ুন:
মেয়ের নাম ‘দুয়া’ রাখার কারণ জানালেন দীপিকা-রণবীর
বাবা হওয়ার পর বিলাসবহুল গাড়ি কিনলেন রণবীর সিং
এরপর দীপিকার স্বামী-অভিনেতা রণবীর সিং সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলেন সঞ্চালক। উত্তরে রণবীর কাপুর বলেন, “আমি চাই, ওদের ঘরজুড়ে সুন্দর সুন্দর বাবু আসুক। ওরা (দীপিকা–রণবীর সিংয়ের সন্তানেরা) আমার মতো অভিনেতা হোক এবং অভিনেতা হিসেবে আমাকে পছন্দ করুক।”
ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর দীপিকার প্রেমে মজেন রণবীর কাপুর। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। দীপিকার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর আলিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। মূলত, আয়ান মুখার্জি নির্মিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই তাদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তা প্রেমে রূপ নেয়।
২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আলিয়া-রণবীর। তারপর দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেন। তাদের প্রেম-বিয়ে নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের পালি হিলসের রণবীরের ‘বাস্তু’ বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর কন্যাসন্তান জন্ম দেন আলিয়া।
রণবীরের কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দীপিকার জীবনে আসে রণবীর সিং। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘রাম-লীলা’ সিনেমার শুটিং সেটে একে অপরের কাছে আসেন এই জুটি। এরপরে বলিপাড়ায় রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন চাউর হয়। যদিও তারা শুরুতে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বিয়ে করেন এই জুটি। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর কন্যাসন্তান জন্ম দেন দীপিকা পাড়ুকোন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র স রণব র ক প র আল য় ভ ট রণব র ক প র রণব র স ন রণব র
এছাড়াও পড়ুন:
বল হাতে দুর্দান্ত মারুফা, ব্যাট হাতে রুবাইয়া—পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
তিন বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অভিষেকে একটিই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেটি এসেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। তিন বছর পর আজ সেই পাকিস্তানকে হারিয়েই ২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে নিগার সুলতানার দল। গত এপ্রিলে যে পাকিস্তানের কাছে বাছাইপর্বে হেরে শঙ্কার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন, সেই দলটিকেই ১২৯ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ নারী দল ম্যাচ জিতেছে ৭ উইকেটে। ১৩০ রানের লক্ষ্যটা ১৮.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যান নিগাররা।
রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য শঙ্কা জাগিয়েছিল। ১০ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লেতে ২৩ রান করতেই ১ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ওপেনার ফারজানা হক ১৭ বলে মাত্র ২ রান করে এলবিডব্লু হয়েছেন ডায়ানা বেগের বলে।
পাওয়ার প্লের পর ১২তম ওভারের শেষ বলে ফিরে যান তিনে নামা শারমিন আক্তার। ১০ রান করতে ৩০ বল খেলতে হয়েছে শারমিনকে। শারমিন ফেরার পর ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ও নিগার সুলতানা পরের দুই ওভারে তুলতে পারেন মাত্র ২ রান।
বাংলাদেশ গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে ১৫তম ওভারে। পাকিস্তান নারী দলের সাদিয়া ইকবালকে চার মেরে আড়মোড়া ভাঙেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। পাকিস্তানি অফ স্পিনার রামিন শামীমের করা পরের ওভারে আসে ১৩ রান, দুই চারে যার ৯-ই নিগারের। রান-উৎসবে এরপর যোগ যেন রুবাইয়াও। বাঁহাতি স্পিনার নাশরা সান্ধুর করা ১৯তম ওভারে তিনটি চার মারেন এদিনই প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নামা রুবাইয়া।
শেষ পর্যন্ত অভিষেকটা ফিফটি করে রাঙিয়েছেন তিনি। ৬২ রানের জুটি গড়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ফিরে গেলেও ২৮ বছর বয়সী রুবাইয়া ফিরেছেন দলকে জিতিয়ে, সঙ্গে একটা রেকর্ড নিয়েও। ৭৭ বলে ৮ চারে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। মেয়েদের ওয়ানডে অভিষেকে যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের সর্বোচ্চ ইনিংস। রুবাইয়া ভেঙেছেন আয়েশা রহমানের রেকর্ড, ২০১১ সালে বিকেএসপিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রান করেছিলেন আয়েশা।
৪৪ বলে ২৩ রান করে নিগারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা সোবহানা মোস্তারি ১৯ বলে করেন অপরাজিত ২৪ রান। ৬টি চার ছিল সোবহানার ইনিংসে।
এর আগে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন পেসার মারুফা আক্তার। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে ফেরান মারুফা। দুর্দান্ত এক বলে প্রথম উইকেটটি পেয়েছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া ফুলার লেংথের বলটা বাঁক খেয়ে ভেতরে ঢুকে লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে। ‘গোল্ডেন ডাক’ পান পাকিস্তান ওপেনার ওমাইমা। পরের বলে আরেকটি ‘গোল্ডেন ডাক।’ এবারও অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকছিল বলটি, সিদরা ড্রাইভ করতে গিয়ে সেটিকে টেনে নিয়ে যান লেগ স্টাম্পে। হ্যাটট্রিক অবশ্য পাননি মারুফা, থেমেছেন এই ২ উইকেট নিয়েই।
তবে ম্যাচ সেরা মারুফার ওই শুরুটাকেই টেনে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের অন্য বোলাররা। তাঁদের মধ্যে আলাদা করেই বলতে হয় লেগ স্পিনার স্বর্ণা আক্তারের কথা। ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ৫ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট। তাঁর পুরো করা তিনটি ওভারই ছিল মেডেন।
২ রানে ২ উইকেট খোয়ানোর মুনিবা আলীকে নিয়ে ৪২ রান যোগ করেন পাকিস্তানের রামিন শামীম। পরপর দুই ওভারে এ দুজনকে ফিরিয়ে আবারও পাকিস্তানকে চাপে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদ আক্তার। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিতে থাকেন বাংলাদেশের বোলাররা। ফল, ৩৮.৮ ওভারে ১২৯ রানে অলআউট পাকিস্তানের মেয়েরা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েদের বিপক্ষে এটিই কোনো দলের সর্বনিম্ন রান। আগের সর্বনিম্ন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের করা ৯ উইকেটে ১৪০ রান। ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সেই ম্যাচটি অবশ্য হেরেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। রান তাড়ায় বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৩৬ রানে। আজ এমন কিছুর শঙ্কা দূর হয়েছে অভিষিক্ত রুবাইয়াতের ব্যাটে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ অক্টোবর, গুয়াহাটিতে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোরপাকিস্তান: ৩৮.৩ ওভারে ১২৯ (রামিন ২৩, সানা ২২, মুনিবা ১৭, ডায়না ১৬*, সিদরা ১৫, আলিয়া ১৩; স্বর্ণা ৩/৫, নাহিদা ২/১৯, মারুফা ২/৩১)।বাংলাদেশ: ৩১.১ ওভারে ১৩১/৩ (রুবাইয়া ৫৪*, সোবহানা ২৪*, নিগার ২৩; ডায়না ১/১৪)।
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মারুফা আক্তার।