বৃহস্পতিবার রাতে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তান: ভারত
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতের ৩৬টি স্থানে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। এই স্থানগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী লেহ থেকে স্যার ক্রিক এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন ভারতের সামরিক বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং।
ব্যোমিকা সিং বলেন, পাকিস্তানের এসব ড্রোনের অনেকগুলো ধ্বংস করেছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে একটি সশস্ত্র ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়। জবাবে পাকিস্তানের চারটি আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনা নিশানা করে সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালানো হয়। এ সময় দেশটির একটি রাডার–ব্যবস্থা ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারত।
আল–জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, সংবাদ সম্মেলনে ব্যোমিকা সিং বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালায় পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বাণিজ্যিক উড়োজাহাজকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও দাবি করেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই কর্মকর্তা।
ভারত সরকারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতভর ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সেগুলো রুখে দিতে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সক্রিয় করা হয়। এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে ছিল— ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’, ‘বারাক-৮’, ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ডিআরডিওর’ ড্রোন–বিধ্বংসী প্রযুক্তি।
আরও পড়ুনভারতের হামলার পর কী জবাব দেবে পাকিস্তান, সামনে চারটি বড় প্রশ্ন৫ ঘণ্টা আগেএদিকে শুক্রবার ভারতের হরিয়ানার রাজ্যের আম্বালা জেলায় রাতে সব আলো নিভিয়ে রাখার (ব্ল্যাকআউট) নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। জেলাটিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলাটিতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত আলো জ্বালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুনদুই দিনে ভারতের পাঠানো ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনমুরিদকেতে ভারত কি ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’তে হামলা চালিয়েছে, নাকি মসজিদে৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।