‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’প্রতিপাদ্যে আজ থেকে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’ পালন করা হচ্ছে। 

শনিবার (১০ মে) ঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’ এর উদ্বোধন এবং ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ প্রদান করা হবে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন এবং প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা.

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

শিশুদের প্রতিভা বিকাশ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদান এবং তাদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুরস্কৃত করে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের উদ্যোগ নেয়।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ১৯৮৫ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এ বছরের জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিষয়ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অনুযায়ী বিজয়ীদের ১৮টি ক্যাটাগরিতে (বালক ও বালিকা) মোট ১০৮টি পুরস্কার এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৪টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অনুযায়ী ৪২টি পুরস্কারসহ মোট ১৫০টি পুরস্কার প্রদান করা হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের যথাক্রমে ৩০, ২৫ এবং ২০ হাজার টাকাসহ পদক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। ব্যক্তি পর্যায়ে সেরা স্থান অধিকারীদের ৫০ হাজার টাকাসহ পদক ও সনদপত্র এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সেরা স্থান অধিকারীদের ৫০ হাজার টাকাসহ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ বিতরণ, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত ভিডিও প্রদর্শন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

ব্যক্তি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শ্রেষ্ঠ প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সুপারিনটেনডেণ্ট, শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, শ্রেষ্ঠ উপজেলা রিসোর্স সেন্টার (ইউআরসি) ইন্সট্রাক্টর, শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পিটিআই ও শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের আন্তঃক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রস ক র পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে

১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।

এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।

আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪

এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।

এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাসকিনের প্রথমের আনন্দ
  • ঋতুপর্ণাকে বিসিবির বাড়ি উপহার
  • বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চান মনন
  • ২০২৪’র বিপ্লব লুটেরাদের লুটে খাওয়ার জন্য হয় নাই : ড. আব্দুল মঈন খান
  • আগ্রহ বেশি শহরের কলেজে, মফস্‌সলে খালি থাকবে আসন
  • গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
  • মারুফ সাত্তার আলী প্রভাতী ইনস্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
  • ২৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া রাফিয়ার ক্লাস করা হলো না
  • চার মাস পর মূল্যস্ফীতি আবার বাড়ল, জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ৮.৫৫%
  • ট্রাম্প শুল্ক: বাংলাদেশ জিতল না হারল