জাবিতে বিনামূল্যে ছাত্রদলের ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম
Published: 10th, May 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে সকাল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পাশে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৩১ দফার অন্যতম ২৬তম দফা ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য এবং সার্বজনীন চিকিৎসা’ এর অধীনে ফ্রি হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রোগ্রামের আওতায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে তিন ডোজে মোট ৩০ হাজার টিকা প্রদান করা হবে।
আরো পড়ুন:
ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক
সমালোচনার মুখে জাবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর খাতা বাতিল
এ প্রোগ্রামের আওতায় ১০ মে থেকে ২১ মে ব্লাড স্যাম্পল স্ক্রিনিং ও ১৪ মে থেকে ২২মে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয় জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, “ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের তত্বাবধানে জাবি শাখা ব্যবস্থাপনায় আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। আজ থেকে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের কর্যক্রম চলবে।”
তিনি বলেন, “এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি কাজ করছি। আমরা আশা করি, শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে এবং নিজেদের হেপাটাইটিস রোগের হাত থেকে সুরক্ষা করবেন।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ প ট ইট স ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
এখনও শিশু সাজিদের খোঁজ নেই, ৪৫ ফুটের নিচে ক্যামেরাও যাচ্ছে না
রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে ২৪ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কোয়েল হাট পূর্ব পাড়া গ্রামে সাজিদ নামের দুই বছরের একটি শিশু ৩০–৩৫ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায়। পরে বিকেল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মূল গর্তের পাশ থেকে কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ৪৫ ফুট গভীরে গিয়েও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। আজ বেলা আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় উদ্ধারকাজ চলছিল। নিখোঁজ শিশুটি উপজেলার কোয়েল হাট পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রাকিবের ছেলে।
এদিকে আজ উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে গেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ঢাকা থেকে আজ বেলা সাড়ে বারটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাবে। প্রয়োজন হলে ১০০ ফুট পর্যন্ত যেতে হবে। এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
উদ্ধার কাজের যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ওই গর্তে সার্চ ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছেন। তবে ৪৫ ফুটের পর আর ক্যামেরা যাচ্ছে না। এই পর্যায়ে কী করা যায়, তা নিয়ে শিশুটির পরিবার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আলোচনা করবেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েল হাট গ্রামের কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে দুই বছরের শিশু ৩০ ফুট গভীর গর্তে, ফায়ার সার্ভিস অক্সিজেন দিচ্ছে২০ ঘণ্টা আগেফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাত ১০টার দিকে ছোট এক্সকাভেটর দিয়ে আর খনন করা সম্ভব হয়নি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো বড় এক্সকাভেটর দিয়ে খনন শুরু করা হয়েছিল। আজ সকাল আটটার দিকে প্রায় ৩৫ ফুট গভীরে গিয়ে মূল গর্তের পাশ কেটে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি আরও গভীরে চলে গেছে।
আরও পড়ুন৩৫ ফুট গভীরেও শিশু সাজিদকে পাওয়া যায়নি, উদ্ধার অভিযান চলছে৫ ঘণ্টা আগে