জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (১০ মে সকাল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পাশে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৩১ দফার অন্যতম ২৬তম দফা ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য এবং সার্বজনীন চিকিৎসা’ এর অধীনে ফ্রি হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রোগ্রামের আওতায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে তিন ডোজে মোট ৩০ হাজার টিকা প্রদান করা হবে।

আরো পড়ুন:

ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক

সমালোচনার মুখে জাবির বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীর খাতা বাতিল

এ প্রোগ্রামের আওতায় ১০ মে থেকে ২১ মে ব্লাড স্যাম্পল স্ক্রিনিং ও ১৪ মে থেকে ২২মে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এ বিষয় জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, “ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের তত্বাবধানে জাবি শাখা ব্যবস্থাপনায় আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। আজ থেকে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের কর্যক্রম চলবে।”

তিনি বলেন, “এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি কাজ করছি। আমরা আশা করি, শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে এবং নিজেদের হেপাটাইটিস রোগের হাত থেকে সুরক্ষা করবেন।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ প ট ইট স ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে এনসিপির কমিটিতে নাম আসা একজন বললেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে নাম আসা একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত।

গতকাল শনিবার রাতে এনসিপির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ৩১ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মরমি সাধক হাসন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরীকে (সুমন)। সংগঠনের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তাঁকে বিএনপির রাজনীতিতে কখনো সক্রিয় দেখা যায়নি।

কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে রাখা হয়েছে পাঁচজনকে। এর মধ্যে প্রথমে নাম থাকা মো. হারুনুর রশিদ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে তিনি দলের নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, এনসিপি থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে কমিটি নিয়ে বা কমিটিতে রাখার বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনসিপি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কথাবার্তা হয়েছে। তবে আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিইনি। এখন হঠাৎ কমিটিতে নাম দেখে আমি বিব্রত। আমি বিএনপিতেই আছি এবং থাকব।’

কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী আতাউর রহমান ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। যুগ্ম সমন্বয়কারী আবু সালেহ নাসিম সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন।

কমিটির বিষয়টি কেন্দ্র থেকে সমন্বয় করা হয়েছে জানিয়ে জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পাওয়া সাজাউর রাজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলাম না। জুলাই গণ–আন্দোলনে সমর্থন ছিল। আমরা বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে নিয়ে কাজ করব। মানুষ আর নৈরাজ্য, সন্ত্রাস চায় না। শান্তি ও স্বস্তি চায়। একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চায়।’

কমিটিতে থাকা অন্যরা হলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী ইসহাক আমিনি ও শহিদুল ইসলাম; সদস্য দেওয়ান তাসাদ্দুক রাজা, আলাল উদ্দিন, করিম মিয়া, শিবনাথ বিশ্বাস, জুলপাশ খান, ফয়সাল আহমদ, শাহানুর আলম, বিকাশ রঞ্জন তালুকদার, মো. রেজাউল করিম, আমিনুল হক, মির্জা আবদুল অদুদ, আলি হোসেন খান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. আজাদনুর মিয়া, শ্যামল শান্ত, হাসান আল মাসুম, হাফেজ আরিফুল ইসলাম সরকার, মো. শামিম আহমদ, মো. আবদুর রহমান, হাফিজ আহমদ, সাদিকুর রহমান, রফিক আহমদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মকবুল হোসেন ও মো. আলী রাজ আহমদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ