স্তন্যদানকারী মায়েরা সুস্থতার জন্য কী করবেন, কী করবেন না
Published: 11th, May 2025 GMT
সন্তান জন্মদানের পর থেকে একজন মা রাতের পর রাত জাগতে থাকেন, শিশুকে বুকের দুধ পান করান। এই সময় মায়ের শরীরের জন্য প্রচুর এনার্জি এবং পর্যাপ্ত ক্যালোরি প্রয়োজন। সুস্থতার জন্য বালেন্স ডায়েট চার্ট ফলো করার জরুরি। অনেক পরিবার শিশুর প্রতি অধিক মনোযোগ দিলে মায়ের প্রতি তেমন যত্ন নেন না। এতে মায়ের শরীরে নানা রকম অসংগতি দেখা দিতে থাকে। মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকলে পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন হয় না।
ডা.
‘‘দুধ, ডিম, বেদেনা, কলা, আপেল, খেজুর, কিসমিসসহ যেসব খাবাবে পর্যাপ্ত আয়রন থাকে সেগুলো মায়ের ডায়েটে রাখুন। দই, পনিরে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে এগুলোও খেতে পারেন। ’’— যোগ করেন ডা. আহমেদ নাজমুল আনাম
আরো পড়ুন:
গর্ভবতী মায়ের শারীরিক যত্নে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
বড় স্বপ্ন পূরণে কীভাবে এগিয়ে যাবেন
যা করা যাবে না—
এই সময় অতিরিক্ত তেলে ভাজা ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। নতুন মায়েরা চা-কফি পান থেকে বিরত থাকতে পারেন অথবা সীমিত পরিমাণে পান করতে পারেন। তামাক পরিহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধ সেবন করা যাবে না। খাদ্যবাহিত রোগের সংক্রমণ এড়াতে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। সুস্থতার জন্যস্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, মা এবং শিশু উভয়ের জন্য ভিটামিন ডি’র পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজন। দুজনই প্রতিদিন কিছুক্ষণ সূর্যের আলোয় (২০ মিনিট) থাকতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর য প ত ত পর ম ণ র জন য প ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
রাতে আবার ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলা
রাতে আবার হামলা-পাল্টা হামলায় লিপ্ত ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য পাঞ্জাবের উভয় অংশের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোট, ফিরোজপুর ও অমৃতসরে রাতের আঁধারে একে পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বেশ কয়েকটা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং আকাশে ঝলকানি দেখা গেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড্রোন হামলা হচ্ছে। ড্রোনগুলো ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলছে। পুরো শহরে ব্ল্যাকআউট চলছে।
বিবিসি লিখেছে, অন্যদিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরেও বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অমৃতসর শহরে একের পর এক বিস্ফোরণ হচ্ছে। একই সঙ্গে ড্রোনও দেখা যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর ঘাঁটির কাছে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, অমৃতসরে পাকিস্তানের এই হামলায় কারো মৃতু্যর খবর নেই।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর ও অবন্তীপুরায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গাতেই বিদ্যুৎ নেই।
কাশ্মীরের পুঞ্চ অঞ্চলে বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও গোলাগুলি চলছে, যাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জম্মুর স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাতে সেখানেও বিস্ফোরণ হয়েছে। পুরো জম্মুতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষ ঘরে রয়েছে। দিনের বেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সন্ধ্যা হতেই পরিস্থিতি বদলে গেছে।
৭ মে রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এর জবাবে ভারতেও হামলা চালায় পাকিস্তান। ওই দিন থেকে দুই দেশের মধ্যে থেমে থেমে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। উভয় দেশ হতাহতের তথ্য দিয়েছে। অবশ্য এক দেশ অন্য দেশের তথ্যকে ভুয়া' বলে প্রত্যাখ্যান করছে। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে গুজব ও অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ আনছে।
পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা: ভারত
পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে রাতে একটি পাকিস্তানি ড্রোন হামলায় একটি পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা আগুনে পুড়ে আহত হয়েছেন এবং তাদের একজনের অবস্থা সংকটজনক।
ফিরোজপুর পুলিশের কর্মকর্তা ভূপিন্দর সিং সিধু বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, “আমরা তিনজনের আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তাদের দেহে আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা করছেন। বেশিরভাগ ড্রোনই সেনাবাহিনী নিস্ক্রিয় করে ফেলেছে।”
স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের গ্রহণকারী চিকিৎসক ডা. কমল বাগি বলেন, ওই পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে দুজনের জখম তুলনামূলকভাবে কম।
তিনি বলেন, “ড্রোন বোমা বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন নারী গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন এবং তার অবস্থা সংকটজনক। বাকি দুজনের সামান্য পোড়ার ক্ষত আছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু করেছি। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।”
একটি ড্রোনও ভারতে ফিরতে পারেনি: পাকিস্তান
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ভারত থেকে পাঠানো ড্রোনের একটিও নিজ দেশে ফেরত যায়নি।
ভারত ইসরায়েলের তৈরি ড্রোন পাকিস্তানে পাঠিয়েছে এবং সেনাবাহিনী এমন ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করছে বলে এর আগে দাবি করেছিলেন শরিফ চৌধুরী।
এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা যখন হামলা চালাবে, তাদের উত্তর দেবে, তখন ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে সেটার কথা বলতে হবে না। সবাই সেটা শুনতে পাবে।”
ঢাকা/রাসেল