আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন।

গতকাল শনিবার এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে। একই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। উপদেষ্টা পরিষদের ওই বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর পাশাপাশি, জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গৃহীত হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পর এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হলো। এতে বলা হয়, এই আইন বা প্রযোজ্য অন্যান্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারা উপধারা (২)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, মদদ দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহযোগিতা করেছে অথবা অন্য যেকোনোভাবে সেই অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেছে, তবে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা থাকবে সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনের নিষিদ্ধ ঘোষণার, এর নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত অথবা বাতিল করার এবং এর সম্পত্তি জব্দ করার।

আইনে সংগঠন শব্দটির সংজ্ঞায়নও করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় সংগঠন বলতে যেকোনো রাজনৈতিক দলকেও বোঝাবে। পাশাপাশি দলের অধীনস্থ, সম্পর্কিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন অথবা গোষ্ঠীকে বোঝাবে।

আরও পড়ুনবিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ১৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট স গঠন আইন র

এছাড়াও পড়ুন:

২০ মে চা-শ্রমিক দিবসে সবেতন ছুটি ঘোষণার দাবি

২০ মে চা-শ্রমিক দিবসে সবেতন ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সিলেটের খান চা-বাগানে আয়োজিত এক সভায় এ দাবি জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় কর্মিসভা শুরু হয়। ফেডারেশনের নেতা উপেন রায়ের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা উজ্জ্বল রায় ও আবু জাফর, ফেডারেশনের জেলা আহ্বায়ক বীরেন সিং, জেলা শাখার নেতা শীপন পাল, রতন বাউরি, সুমি রায়, নিখিল দাস, হৃদয় দাস প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ বাগানমালিকদের প্রতারণা, বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ঐতিহাসিক ‘মুল্লুক চলো’ আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে ১৯২১ সালের ২০ মে। ইতিহাসে যুক্ত হয় শ্রমজীবী মানুষকে পৈশাচিকভাবে হত্যার একটি ঘৃণ্যতম ঘটনা। চা-শ্রমিকদের জন্য ঐতিহাসিক দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সবেতন ছুটি ঘোষণার আহ্বান রইল।

ব্রিটিশ-পাকিস্তানিদের তাড়িয়ে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও চা-শ্রমিকদের বঞ্চনার শেষ হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, শ্রমিকদের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যূনতম আয়োজন নেই চা-বাগানে। নেই ভূমিরও মালিকানা।

কর্মিসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০ মে চা-শ্রমিক দিবস হিসেবে প্রতিটি চা-বাগানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, ২৩ মে সিলেট নগরের দরগাগেট এলাকার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের (কেমুসাস) সাহিত্য আসর কক্ষে মতবিনিময় সভা এবং ২৫ মে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় চা-শ্রমিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ