রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে জনতার রোষানলে পড়েন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক। রোববার উপজেলার বালুয়ামাসিমপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটি দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিককে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় জনতা। তার অপসারণ দাবি করেন তাঁরা। কারণ ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকাবাসীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নেন। ঘরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে চাপা দিয়ে রাখে ওই ব্যক্তি। এর মধ্যে শিশুটিকে বাড়ির লোকজন খুঁজতে থাকে। প্রতিবেশী এক নারী সেখানে গিয়ে বালুর নিচে হাত দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন শিশুটিকে বালুর নিচে থেকে উদ্ধার করে।

দুপুর পৌনে তিনটা পর্যন্ত ওসি ঘটনাস্থলে অবরুদ্ধ ছিলেন। 

বিস্তারিত আসছে.

....... 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে আবারও পুকুর সেচে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

চট্টগ্রামের রাউজানে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি এলজি, একটি রাইফেল, ১১টি গুলিসহ এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে বিদেশি পিস্তল, রাইফেল এবং ৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে পুকুর সেচে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলোয়ানপাড়া থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহ আলম। তিনি পলোয়ানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি হত্যা, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা একাধিক মামলার আসামি। পুলিশের দাবি, শাহ আলম স্থানীয় এক বিএনপি নেতার অনুসারী পরিচয়ে এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, সকালে চারটি এলজি, তিনটি গুলি, একটি গুলির খোসাসহ নিজ ঘর থেকে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে দুপুরে বাড়ির পুকুর সেচে একটি বিদেশি রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল ও আটটি গুলি উদ্ধার হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনকে নোয়াপাড়া ইউপি কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে গুলি করা এবং মদুনাঘাটে বিএনপিকর্মী আবদুল হাকিমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার আসামি তিনি।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘শাহ আলম একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ৭ থেকে ৮টি মামলা রয়েছে। এর বাইরেও দুটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি তিনি। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক মামলা করে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

এর আগে ৭ নভেম্বর একই ইউনিয়নের চৌধুরীহাট বাজারসংলগ্ন আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়ির পেছনের পুকুর সেচে পুকুর সেচে একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি শটগান ও সাতটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্র-গুলি গত বছরের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ