১৭ ও ২৪ জুন আদালত খোলা থাকবে, ১১ ও ১২ জুন ছুটি
Published: 12th, May 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ এবং দেশের সব অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনাল আগামী ১১ ও ১২ জুন (যথাক্রমে বুধ ও বৃহস্পতিবার) সাধারণ ছুটির আওতাভুক্ত থাকবেন।
পাশাপাশি ঈদুল আজহার আগে দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ ও ২৪ জুন (দুটি শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সব অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনাল খোলা থাকবে। আর এই দুই দিন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) শুধু দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞার সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। পৃথক বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনউৎসবে কোন দেশে কত ছুটি, সরকারি অফিস টানা ১০ দিন বন্ধ কতটা যৌক্তিক০৭ মে ২০২৫ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি–সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৭ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনের অংশবিশেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের ভাষ্য, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন যথাযক্রমে বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এবং দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ জুন (শনিবার) ও ২৪ জুন (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার ঘোষণা করা হলো। এ হিসেবে পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি আগামী ৫ জুন শুরু হবে। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ১৪ জুন ছুটি শেষ হবে।
আরও পড়ুনঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব০৬ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ঢাবিতে শান্তি শোভাযাত্রা
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে সম্প্রীতি উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার (১১ মে) সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ঢাবিতে গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শান্টু বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজল বড়ুয়া, মহাসচিব অ্যাডভোকেট রিপন কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। উৎসবের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রিটন কুমার বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “গৌতম বুদ্ধ শান্তির কথা, লোভ-লালসা থেকে দূরে থাকার কথা এবং বর্তমানকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে তার এসব বাণী ও শিক্ষা খুবই প্রাসঙ্গিক। তার এসব শান্তির বাণী আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।”
উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে সকল জাতিগোষ্ঠী ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ পাঁচটি জেলায় বুদ্ধ পূর্ণিমার সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী এ উৎসব উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আলোচনা পর্ব শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী