চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত একটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সোহানা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় সমন্বয়ক। এ ছাড়া বিগত সরকারের সময় তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সদস্য ও বিজিএমইএর সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ফারমিন গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন সোহানা। সোহানার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা কোতোয়ালি থানান মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিনাত সোহানা। ওই মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ ও ইসকনের ২৯ জন নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

আরিফুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোহানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবিতে জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘অবমাননা’র প্রতিবাদ

শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টাকে ‘অবমাননা’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলের গেট থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে এ পরিবেশনায় অংশ নেন তারা।

সংগীত পরিবেশনার আগে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘আজাদী না গোলামী, আজাদী আজাদী’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। স্লোগান দিতে দিতে আসেন শহীদ মিনারের সামনে।

আরো পড়ুন:

সমাধান না পেয়ে আবারো রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

৩ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ বুধবার সকালে

এর আগে, শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে যখন খবর আসে অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন আন্দোলনকারীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন।

আন্দোলনের বিজয় ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করলে কিছু যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে– ‘জাতীয় সংগীত হবে না’। গান থামাতে ব্যর্থ হয়ে তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয়।

সংগীত পরিবেশনের সময় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই যদি জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হয়, তখন আমাদের এই জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রয়োজন নাই। নতুন জাতীয় সংগীত যতদিন পর্যন্ত না হয়, ততদিন জাতীয় সংগীত অবমাননা করার অর্থ রাষ্ট্রদ্রোহীতা। আমরা কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করব না এবং হতেও দেব না। এই সঙ্গীতকে আমরা জাতীয় সংগীত হিসেবে মানি এবং ধারণ করি। ভবিষ্যতে কেউ যদি জাতীয় সংগীত অবমাননার চেষ্টা করে. আমরা তাদের প্রতিহত করব।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ