সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ করেছে একদল ব্যক্তি। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই চেয়ারম্যানের নাম নির্মলেন্দু দাশ ওরফে রানা। তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ জানিয়েছে, নির্মলেন্দু রিকাবীবাজার এলাকার ফাতেমা রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এ সময় একদল লোক তাঁকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করেন। পরে পুলিশের কাছে তাঁকে সোপর্দ করেন তাঁরা। পিটুনিতে নির্মলেন্দু রক্তাক্ত হন। তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। পুলিশ নির্মলেন্দুকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

গতকাল রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে নির্মলেন্দু পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় পুরোনো একটি মামলা আছে। এ ছাড়া আর কোনো মামলা আছে কি না, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি কীভাবে ও কতটুকু আহত হলেন, সেটা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ শেষে পরে বলা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহনে আন্দোলনকারীদের হামলা, আটক ২

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পর্যটকবাহী অন্তত পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ইজারা বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আন্দোলনরত কিছু ব্যক্তি এই ভাঙচুর করেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে সিলেট–কোম্পানীগঞ্জ–ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের থানাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিলেটের পাথর কোয়ারি ইজারা দিয়ে আবার চালু করা ও ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়াসহ কিছু দাবিতে সিলেট জেলা পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে গত শনিবার থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোড–আনলোডে কর্মবিরতি পালিত হয়। একই দাবিতে গতকাল সোমবার সিলেটের সব পণ্য পরিবহনের মালিক–শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।

আরও পড়ুনজাফলংয়ে আবার অভিযান, এবার পাথর ভাঙার ৭৭টি যন্ত্রের বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন২৫ জুন ২০২৫

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণ–অনশন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে কর্মসূচিতে থাকা একদল ব্যক্তি সিলেট–কোম্পানীগঞ্জ–ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় সড়ক অবরোধকারী অনেকের হাতে লাঠিসোঁটা, পাইপ ও বাঁশ দেখা গেছে। তাঁরা সড়কে অবস্থান নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কোয়ারি চালুর দাবি জানান।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণ–অনশন কর্মসূচি থেকে এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন একদল তরুণ–যুবক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহনে আন্দোলনকারীদের হামলা, আটক ২
  • ট্রাম্পের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েই কি নতুন দল গঠনের হুমকি দিচ্ছেন ইলন মাস্ক
  • অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক
  • কার্যকরী কমিটির সভা চলাকালে বহিরাগতদের হামলা, মারধর