উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে চীনের পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বুধবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বেইজিংয়ের এই প্রচেষ্টাকে ‘অকার্যকর ও হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেছে।

বেইজিং অতীতেও অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে। এই বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে দুই দেশের সীমান্তে মারাত্মক সামরিক সংঘর্ষের পর তাদের সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটে।

সম্প্রতি ভারতের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি জায়গার নাম এককভাবে প্রকাশ করেছে চীন। যে অঞ্চলগুলোর নামকরণ চীন করেছে, তার অধিকাংশই ভারতের মধ্যে। এসব এলাকা চীন তাের মানচিত্রে যুক্ত করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, চীন বারবার ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন নাম দিয়ে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আমরা এমন প্রচেষ্টা স্পষ্টভাবে নাকচ করছি।”

তিনি বলেছেন, “এ ধরনের সৃজনশীল নামকরণ বাস্তবতা বদলাতে পারে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”

গত বছরের এপ্রিলে চীন অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৩০টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল। চীনের এই পদক্ষেপকে ভারত ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দেয় এবং ওই এলাকাগুলো এই অঞ্চলের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবে মর্যাদা পুনর্ব্যক্ত করে।

ভারত ও চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ১৯৬২ সালে এই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২০ সালের যুদ্ধে ২০ জন ভারতীয় এবং চারজন চীনা সেনা নিহত হয়।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন কর ছ

এছাড়াও পড়ুন:

ইশরাক হোসেনকে শপথ না করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে রায় এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও বুঝিয়ে না দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। 

বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টা থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাক হোসেনের কর্মী-সমর্থক ও নগরবাসীর একটি অংশ।

প্রতিবাদকারীরা জানান, আইনি প্রক্রিয়ায় বিজয় প্রমাণিত হওয়ার পরও মেয়র পদে শপথ গ্রহণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকে গড়িমসি ও ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে দেখছেন তারা।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা, ‘আমরা চাই জনতার মেয়র’, ‘গেজেট যখন হয়েছে, শপথে বাধা কেন?’ ‘ইশরাক না এলে নগরভবন ছাড়বো না।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ঢাকার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, “বিগত নির্বাচনে ইশরাক বিপুল ভোটে জয়ী হলেও তাপসকে মেয়র ঘোষণা দিয়ে সরকার জনগণের রায়কে উপেক্ষা করেছে। আদালতের রায়ে সেই অন্যায়ের সংশোধন হয়েছে, এখন সরকার যদি সেটা বাস্তবায়ন না করে, তাহলে সেটা আদালত অবমাননার শামিল।”

কামাল হোসেন নামে আরেক আন্দোলনকারী  বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। কিন্তু জনগণের রায় এবং আদালতের রায় উপেক্ষা করা হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। আমাদের একটাই দাবি—আজকের মধ্যেই ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথ করানো হোক।”

বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা নগরবাসীর একটি পরিচ্ছন্ন, দুর্নীতিমুক্ত, মশামুক্ত ঢাকা গড়তে চান। তাদের দাবি, বিগত মেয়র এবং বর্তমান প্রশাসক নগরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ। তাই এখন সময় এসেছে একজন যোগ্য এবং বৈধ মেয়রের নেতৃত্বে নতুন করে ঢাকাকে সাজানোর।

আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা নগর ভবন ছেড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে লাগাতার অবস্থান ও নতুন কর্মসূচির ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন। 

তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ পাওয়ার পর এই গেজেটে প্রকাশ করেছে ইসি। এর আগে ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। তাতে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণে ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত ও চীনের মধ্যে ‘নামসংঘাত’
  • ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
  • এমবাপ্পে, হলান্ড নাকি লেভা: চলতি দশকে গোলের লড়াইয়ে এগিয়ে কে
  • ইশরাক হোসেনকে শপথ না করানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ