ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 14th, May 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব ইশরাক হোসেনকে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন হাজারও মানুষ। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী ইশরাক হোসেন বৈধ মেয়র। এরপরও কেন তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলো না?
তাদের দাবি, একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা গড়তে ইশরাকের মতো জনবান্ধব মেয়র প্রয়োজন।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যতদিন না ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে, ততদিন তারা নগর ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ইশরাক বিজয়ী হন। কিন্তু সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে। এখন আদালতের রায়ে প্রমাণ হয়েছে ইশরাকই বৈধ মেয়র। তবুও তাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না- এটা খুবই সন্দেহজনক।
তিনি আরও বলেন, আমরা একজন বৈধ মেয়রের শপথ চাইছি, ভুল কিছু না। আজকের মধ্যেই যদি শপথ পড়ানো না হয়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা। যে ভোটাররা ভোট দিয়ে ইশরাককে মেয়র পদে নির্বাচিত করেছিলেন তারাই আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ওই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২২ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়ে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালের রায় পাঠায়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মতামত না আসায় ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনার জানায়, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। পরে নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না। তবে গেজেট প্রকাশের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইশরাক হোসেন এখনও শপথ নিতে পারেননি। কারণ, শপথ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের, যারা এখনও শপথ আয়োজন করেনি।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির শুরুর পর ২০২০ সালের ১৬ মে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। জুনের প্রথম সপ্তাহে হয় প্রথম বোর্ড সভা। সে অনুযায়ী, এ মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুন মাসে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনস স ইশর ক হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের আরো ২৭ জায়গা চীন নিজেদের দাবি করে নাম পরিবর্তন করায় ক্ষোভ দিল্লির
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি স্থানের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে চীনের পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বুধবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বেইজিংয়ের এই প্রচেষ্টাকে ‘অকার্যকর ও হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেছে।
বেইজিং অতীতেও অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে। এই বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালে দুই দেশের সীমান্তে মারাত্মক সামরিক সংঘর্ষের পর তাদের সম্পর্কের তীব্র অবনতি ঘটে।
সম্প্রতি ভারতের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশের ২৭টি জায়গার নাম এককভাবে প্রকাশ করেছে চীন। যে অঞ্চলগুলোর নামকরণ চীন করেছে, তার অধিকাংশই ভারতের মধ্যে। এসব এলাকা চীন তাের মানচিত্রে যুক্ত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, চীন বারবার ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন নাম দিয়ে নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। আমরা এমন প্রচেষ্টা স্পষ্টভাবে নাকচ করছি।”
তিনি বলেছেন, “এ ধরনের সৃজনশীল নামকরণ বাস্তবতা বদলাতে পারে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
গত বছরের এপ্রিলে চীন অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৩০টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল। চীনের এই পদক্ষেপকে ভারত ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দেয় এবং ওই এলাকাগুলো এই অঞ্চলের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবে মর্যাদা পুনর্ব্যক্ত করে।
ভারত ও চীনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ১৯৬২ সালে এই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২০ সালের যুদ্ধে ২০ জন ভারতীয় এবং চারজন চীনা সেনা নিহত হয়।
ঢাকা/শাহেদ