ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব ইশরাক হোসেনকে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন হাজারও মানুষ। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী ইশরাক হোসেন বৈধ মেয়র। এরপরও কেন তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলো না? 

তাদের দাবি, একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা গড়তে ইশরাকের মতো জনবান্ধব মেয়র প্রয়োজন।

বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যতদিন না ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে, ততদিন তারা নগর ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ইশরাক বিজয়ী হন। কিন্তু সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে। এখন আদালতের রায়ে প্রমাণ হয়েছে ইশরাকই বৈধ মেয়র। তবুও তাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না- এটা খুবই সন্দেহজনক।

তিনি আরও বলেন, আমরা একজন বৈধ মেয়রের শপথ চাইছি, ভুল কিছু না। আজকের মধ্যেই যদি শপথ পড়ানো না হয়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা। যে ভোটাররা ভোট দিয়ে ইশরাককে মেয়র পদে নির্বাচিত করেছিলেন তারাই আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এসেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ওই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২২ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়ে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালের রায় পাঠায়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মতামত না আসায় ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনার জানায়, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। পরে নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না। তবে গেজেট প্রকাশের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইশরাক হোসেন এখনও শপথ নিতে পারেননি। কারণ, শপথ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার বিভাগের, যারা এখনও শপথ আয়োজন করেনি।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির শুরুর পর ২০২০ সালের ১৬ মে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। জুনের প্রথম সপ্তাহে হয় প্রথম বোর্ড সভা। সে অনুযায়ী, এ মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুন মাসে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স ইশর ক হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথমবারের মতো ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিল বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো সব অনুষদ ও বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকে (সম্মান) কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়েছে।

‎রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী প্রধান অতিথি হিসেবে ছয় অনুষদভুক্ত বিভাগের এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও চেক প্রদান করেন।

‎এ সময় উপাচার্য বলেন, “আজকের দিনটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আজকের দিনের প্রাপ্ত সনদ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি মূল্যবান।  সম্মাননা ও সনদ অর্জনের অনুপ্রেরণা শিক্ষার্থীদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। স্নাতক পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

আরো পড়ুন:

মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ: জবি ও কুবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

যবিপ্রবিতে ছাত্রীদের আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা এই সাফল্যের যথাযথ মূল্যায়ন আগামী দিনে পাবেন। শহীদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে যারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে, তাদের মাধ্যমে এই বিদ্যাপীঠ আরো সমৃদ্ধি লাভ করবে।”

‎২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় অনুষদগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী চারজন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এবং বিভাগসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ১৭ জন শিক্ষার্থীকে মেরিট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান করা হয়।

‎কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক কমলেশ চন্দ্র রায়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক।

একাডেমিক শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদ হোসেন এবং রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ‎অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

‎এছাড়াও রংপুরের কে. মুশতাক অ্যান্ড হাসনা ইলাহি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোতে অধ্যয়নরত চারজন নারী শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপের চেক প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় নারীকে ধর্ষণ ও নিগ্রহের প্রতিবাদে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • প্রথমবারের মতো ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিল বেরোবি