মতপ্রকাশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানাতে হবে
Published: 15th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সচেতন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। গত মঙ্গলবারের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপমুখপাত্র (প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন) টমি পিগট এ কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মতপ্রকাশ, সমাবেশ এবং সংগঠনের স্বাধীনতার প্রতি বাংলাদেশকে সম্মান জানাতে বলেছেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটি কার্যত দলটির রাজনৈতিক পরিচয় মুছে ফেলা এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কীভাবে দেখছে?’ প্রশ্নকারী উল্লেখ করেন, ‘আগের ব্রিফিংয়ে ট্যামি ব্রুস (মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র) বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র, বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছিলেন। এখন তারা দলটিকেই কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করল। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?’
এই প্রশ্নের উত্তরে পিগট বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং এর নেতাদের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমরা সচেতন। আমরা বাংলাদেশের কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অন্যটির চেয়ে বেশি সমর্থন করি না। আমরা একটি অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সব ব্যক্তির জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংগঠনের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।’
তখন প্রশ্নকারী ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উগ্রপন্থি মতাদর্শকে উৎসাহিত করা’র বিষয়ে জানতে চান। জবাবে পিগট বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সম্পর্ককে গুরুত্ব দিই। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। আর আপনার অন্য প্রশ্নের বিষয়ে আমি এরই মধ্যে মন্তব্য করেছি, এর বেশি কিছু বলার নেই।’
গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র ক ন য ক তর ষ ট র র স ব ধ নত ন ষ দ ধ কর র জন ত ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে