গরমেও মাথা ভর্তি খুশকি? দূর করবেন যেভাবে
Published: 15th, May 2025 GMT
গরমেও খুশকির সমস্যা বাড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অতিরিক্ত ঘাম, ধুলা, তাপ এবং মাথার ত্বকে তৈলাক্ত ভাব থেকে খুশকি সৃষ্টি হয়। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি এবং নিয়মিত যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কী করবেন-
চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন : গরমে ঘাম ও ধুলা জমে মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় বলে খুশকি সৃষ্টি হয়। এ কারণে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার মাইল্ড অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। স্যালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয় না এবং চুলও রুক্ষ হয় না।
নিয়মিত নারকেল তেল বা চুলে তেল ম্যাসাজ করুন: নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিফাংগাল গুণ খুশকির জীবাণু দূর করে। হালকা গরম করে তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সেই সঙ্গে মাথার ত্বক হাইড্রেটেড থাকে।
টী ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন : অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাংগালযুক্ত টি ট্রি অয়েল খুশকির জন্য খুবই কার্যকর। কয়েক ফোঁটা টী ট্রি অয়েল নারকেল বা জোজোবা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান এবং ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
খুশকির জন্য টী ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন : টী ট্রি অয়েল অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাংগাল হওয়ায় এটি খুশকির জন্য খুবই
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন : সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খুশকি রোধে সাহায্য করে। ভিটামিন বি, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, মাছ, ডিম ও দই খেলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে এবং খুশকি কমে।
ধুলো ও রোদ থেকে মাথা বাঁচান: বাইরে বের হলে স্কার্ফ বা হালকা ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। এতে ধুলোবালি ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে মাতার ত্বক সুরক্ষিত থাকে। এর ফলে খুশকি হতে পারে না।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন: পানির সঙ্গে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ব্যবহার করে মাথার ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করুন।
গরমে অতিরিক্ত হেয়ার ড্রায়ার বা স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে স্ক্যাল্প আরও শুষ্ক হয়ে খুশকি বাড়াতে পারে। তাই যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকোন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: খ শক ব যবহ র কর ম থ র ত বক
এছাড়াও পড়ুন:
উপাচার্যরা দায়িত্ব চেয়ে নেননি, হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি
উপাচার্য হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা দায়িত্ব চেয়ে নেননি, হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার।
তিনি বলেছেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে চাই, শিক্ষকদের মর্যাদাক্ষুন্ন বা মর্যাদাহানি হয় এমন কাজ তোমরা করো না। নিজেদের দাবি আদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করো। এই সময়ে যারা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তারা দায়িত্ব চেয়ে নেননি। আমরা হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের ধৈর্যশালী ও সহনশীল হতে হবে।”
রবিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন উপলক্ষে সিনেট ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
আশুরা উপলেক্ষে শেকৃবিতে শিবিরের গণসেহরি
৭৩ বছরে রাবি: গবেষণা-উচ্চশিক্ষাসহ চাকরি ক্ষেত্রে গৌরবময় যাত্রা
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিগত বছরগুলোতে কি হয়েছে আমরা জানি। শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা মেধার বিকাশ ও শিক্ষা অর্জনের জন্য এসেছি। সেখানে নিজেরা দলাদলি করলে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় চরমভাবে ব্যর্থ হবে। শিক্ষকদের কার্যক্রম যেন পরিবেশকে নষ্ট না করে, সে দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বদলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কে কী লিখছে, তা নজরদারি করতেন। শিক্ষক হিসেবে কত নিচে আমরা নেমেছি, এটা তার বাস্তব উদাহরণ। ড. জোহা (সাবেক প্রক্টর, রাবি) পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে ঢাবি উপাচার্যের ভবনে একটি ঘটনা ঘটে, তখন উপাচার্য পুলিশকে নির্দেশ দেন ছাত্রদের গুলি করার জন্য।”
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিচার করি। অপরাজনীতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে আছে। শিক্ষক নিয়োগেও পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। সামনে আবারো শিক্ষক নিয়োগ না হয়ে ভোটার নিয়োগ হতে পারে। তাই আপনাদের পরিষ্কার করতে হবে যে, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ দেখবেন নাকি ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ দেখবেন।”
তিনি বলেন, “দলীয় স্বার্থ দেখলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী আছে। এই সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। আমাদের ছেলেরা যে রক্ত দিয়েছে তার দায় আমাদের শোধ করতে হবে। এই জায়গায় আমরা বেইমানি করলে আমরাই সবচেয়ে বড় বেইমান।”
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইমেরিটাস এ কে এম আজহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমান।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা অবমুক্ত করে দিবসটির উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপদেষ্টা। এরপর শোভাযাত্রা ও প্রধান অতিথি কর্তৃক বৃক্ষরোপণ করা হয়। এছাড়া বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী