তিন জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস, ১৩ জেলায় থাকবে গরম
Published: 15th, May 2025 GMT
বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিন ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে বুধবার পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
বৃষ্টির পাশাপাশি দেশের কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই তাপপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন
সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছের চারা তৈরি ও রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন-১ অধিশাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গিকার পূরণে এ দুটি প্রজাতির গাছের চারা তৈরি, রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বন-১ অধিশাখার উপসচিব তুষার কুমার পাল বলেন, নানা গবেষণায় দেখা গেছে এসব গাছের পানি শোষণক্ষমতা বেশি ও মাটিকে রুক্ষ করে তোলে। তাই দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আগ্রাসী প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশি প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে তুষার কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশে এ দুটি প্রজাতির গাছের চারা রোপণ, বীজ থেকে এসব প্রজাতির চারা তৈরি করা ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক কামাল হোসেন ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছ নিয়ে গবেষণা করেছেন দীর্ঘদিন। বইও লিখেছেন ‘ইউক্যালিপটাস ডিলেমা ইন বাংলাদেশ’ নামে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দেশি প্রজাতিকে প্রাধান্য দিয়ে বনায়নের নির্দেশনা একটা ভালো উদ্যোগ।
কামাল হোসেন বলেন, ১৯২১ সালে সিলেটের চা–বাগানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রথম ইউক্যালিপটাস নিয়ে আসা হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে। ১৯৬০ সালের দিকে কিছু আসে। বড় আকারে আসে ১৯৭৭-১৯৭৮ সালের দিকে। এ সময় আকাশমণিও আনা হয় দেশে। তখন বিএফআরই (বাংলাদেশ ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট) পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, হাটহাজারী, মধুপুর, দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় এটির উপযোগিতা পরীক্ষা করে। এরপর বাংলাদেশে এটার বিস্তার ঘটে।
এই শিক্ষক বলেন,ইউক্যালিপটাস পানি বেশি শোষণ করে; কারণ, এটার গ্রোথ বেশি। এটি যেখানে লাগানো হয়, সেখানে এটি প্রচুর বীজ ছড়ায়। ফলে, অন্যান্য প্রজাতির গাছ জন্ম নেওয়ার সুযোগ পায় না।
তবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি এ দুটি প্রজাতির অবক্ষয়িত ও অনুর্বর মাটিতে টিকে থাকার ক্ষমতা বেশ ভালো উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, এসব জায়গায় এটি লাগানো যায় কি না, সেটা নিয়ে সরকার ভাবতে পারে।