আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ফিরলেন ভারতে গ্রেপ্তার ১১ বাংলাদেশি
Published: 15th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া ১১ বাংলাদেশি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনস্যুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়ে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ওই বাংলাদেশিরা। ভারতে তারা ৮-৯ মাস কারাভোগ করেছেন।
দেশে ফেরা বাংলাদেশিরা হলেন—কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান এবং মো. রুহুল আমিন।
ভারতফেরত মো. হেলাল জমাদ্দারের ভাই মো. বেলাল জমাদ্দার বলেছেন, “আমার ভাই ৮ মাস আগে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় যান। পরে খবর পাই ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সরকারি প্রক্রিয়ায় আজ ফিরে এসেছেন। ভাইকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।”
ঢাকার নাঈম আলী বলেন, “আমার ভাই ৮-৯ মাস আগে দালালের খপ্পড়ে পড়ে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। ওখানে সাজা শেষে আজ ফিরে এসেছেন।”
ভারতফেরত ফারজানা আক্তারের মা রাবেয়া আক্তার বলেন, “আমার মেয়ে বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গিয়ে ভারতে চলে যায়। সেখানে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। মেয়েকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. রুহুল আমিন জানান, ১৪ মাস আগে কাজের কথা বলে দালাল ভারতে নিয়ে যায়। ৬ মাস কাজ করার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ৬ মাস জেল এবং আড়াই মাস সেফ হোমে ছিলাম। দেশে ফিরে আসতে পেরে ভালো লাগছে।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন বলেন, বাংলাদেশি নাগরিক ৮-৯ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। পরে আমরা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম-ঠিকানা পাঠাই। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করি।
ঢাকা/পলাশ/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান, পরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
জুলাই আন্দোলনে আহত ব্যক্তিরা ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ না পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে তাঁরা যমুনার বিপরীত পাশে রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের সামনে অবস্থান নেন। বিকেলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আন্দোলনকারীরা ঘোষণাপত্রের দাবিতে রমনা পার্কের পাশে অবস্থান নেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আর কোনো টালবাহানা চলবে না বলে উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা। বলেন, তাঁরা শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেছিলেন, তখন বলা হয়েছিল ঘোষণা দেওয়া হবে। সর্বশেষ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিও বাস্তবায়ন হয়নি।
এ বিষয়ে রাত আটটার দিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার কাছে কিছু ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের সরিয়ে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে, যা এখনো বলবৎ রয়েছে।