সোনারগাঁয়ে কাজল নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে গৃহবধুর শিমু আক্তার (৩৪) কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এর পরষ্পর সম্পর্কে সতিন হতেন। 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালত হুমায়রা তাসমিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শিমু আক্তার সোনারাগাঁয়ের জিয়ানগর এলাকার ওহিদুল্লাহর স্ত্রী। একইসঙ্গে নিহত কাজল চাঁদপুরের কচুয়া এলাকার মো.

আবুল কালামের মেয়ে।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামসুল আরেফিন টুটুল বলেন, ২০১৫ সালের ৯ জুলাই শিমু আক্তার তার স্বামীর বাড়িতে সতিন কাজলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এই ঘটনায় কাজলের বাবা মো. আবুল কালাম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বিচার কাজ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু রোজা মনি হত্যার তদন্ত ও বিচার দাবি ড্যাবের

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শিশু রোজা মনি (৫) হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। একইসঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের ডা. নিয়াজ শহীদ রানা, ডা. আমিরুল ইসলাম পাভেল, ডা. মো. সাইদুর রহমান, ডা. ফারহান তানভীর, ডা. কায়সার ইয়ামিন ইশাত, ডা. গালিব হাসান, ডা. এএসএম রাকিবুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে সকালে রাজধানীর ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশু রোজা মনি। তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি এবং এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। পরেরদিন সকালে রাজধানীর বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার স্তূপে একটি বস্তায় শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর বস্তার ভেতরে মেলে রোজা মনির মরদেহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে মর্গ থেকে সিএনজি অটোরিকশায় লাশ নিয়ে তেজকুনি পাড়ায় ফেরেন শিশুটির দুলাভাই মোবারক হোসেন ও স্বজনরা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক। ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, দেশ আজ যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র চাই। প্রতিটি মৃত্যুর জন্য সরকারের দায় আছে। আমরা একটি মানবিক স্বাস্থ্যনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাই, যেখানে চিকিৎসার অধিকার ও নিশ্চয়তা পাব।

ঢাকা দক্ষিণ ড্যাবের সভাপতি ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, শিশু রোজা মনির অকাল মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তার লাশ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে সিএনজিতে করে নেওয়ায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা রোজা মনি খুনের ঘটনায় দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে রোজার পরিবারকে সরকারিভাবে অনুদান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিশু রোজা মনি হত্যার তদন্ত ও বিচার দাবি ড্যাবের