চার দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দুপুর ২টার দিকে কাকরাইল মোড়ে তৃতীয় দিনের মতো পূর্বঘোষিত সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে এই সরকারের কিসের সমস্যা। এই দাবি আদায় করতে গিয়ে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন। জাতীয় বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছেন। কিন্তু এই সরকারের আমাদের রক্তের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার মেনে নিতে চাইছে না।

সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন বলেন, আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সব রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে যে নজির স্থাপন করেছে; তা ইতিহাসে বিরল। আমাদের মধ্যে মতামতের পার্থক্য থাকতে পারে। তবে আমরা জবি প্রশ্নে সর্বদা এক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই আন্দোলনে উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। কিন্তু জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে আমরা দেখেন না, আপনারা ঘুমান। আমাদের ষ্পষ্ট দাবি, বাজেটে ৩০৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে। আমরা এই স্থান ছেড়ে যাব না।

এর আগে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কাকরাইল মোড়ে বাসে বাসে করে জমায়েত হতে শুরু করেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার বেলা পৌনে ১২টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওয়ানা হয়। পদযাত্রা প্রথমে গুলিস্তান মাজার গেটে বাধার মুখে পড়েন। পরে মৎস ভবনে ফের পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যেতে থাকেন জবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে যেতেই অতর্কিত টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করতে শুরু করে পুলিশ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন। এরপর রাতে আলোচনার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড.

রেজাউল করিম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন  শিক্ষা উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাসায় দীর্ঘসময় মিটিং করলেও কোনো সমাধান আসেনি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হুতি সমর্থিত আল-মাসিরাহ টিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, হোদেইদাহ গভর্নরেটের আস-সালিফ বন্দরে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন জানিয়েছে, হোদেইদাহর পাশাপাশি রাস ইসার বন্দরগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী হুতি নিয়ন্ত্রণাধীন বন্দরগুলোতে ‘আক্রমণ করেছে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতি’ করেছে। 

কাটজ বলেছেন, “যদি হুতিরা ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে, তবে তারা যন্ত্রণাদায়ক আঘাত ভোগ করবে।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন,  এসব হামলা ‘শুরু মাত্র।’

তিনি বলেছেন, “আমরা চুপ করে বসে থাকব না এবং হুতিদের আমাদের ক্ষতি করতে দেব না। আমরা তাদের উপর আরো জোর দিয়ে আক্রমণ করব, যার মধ্যে তাদের নেতৃত্ব এবং আমাদের উপর আক্রমণ করার জন্য তাদের সক্ষম সব অবকাঠামোও অন্তর্ভুক্ত।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ