ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষীদের পুনর্বাসন দাবি
Published: 16th, May 2025 GMT
ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষী বাংলাদেশিদের পুনর্বাসন দাবি করেছেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেন, উর্দুভাষীরা এই দেশের নাগরিক। তারা ক্যাম্পে থাকবে কেন, সরকারি উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসন করতে হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘সার্কেল অব মাইনোরিটিজ’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশের উর্দুভাষী নাগরিকদের পুনর্বাসনের উপায় নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, প্রায় তিন লাখ উর্দুভাষী মানুষ ক্যাম্পে বসবাস করেন। তারা এই দেশের নাগরিক এবং ভোটার। তারা ক্যাম্পে থাকবে কেন, তাদের পুনর্বাসন করতে পারে সরকার। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় একসময় জমিও অধিগ্রহণ করেছিল। সারা বাংলাদেশে ১১৬টি ক্যাম্প রয়েছে, এসব ক্যাম্পে যারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন, এসব নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ঐতিহাসিক বাস্তবতার কারণে রাজনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের অংশ হিসেবে তারা জেনেভা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন জেলায় এতগুলো ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন, যা পরবর্তীতে তাদের স্থায়ী আবাসন হয়ে যায়। রাজনৈতিক টানাপোড়েন ও গোষ্ঠীগত ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে তারা একপ্রকার রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিল। এই জনগোষ্ঠী কখনোই তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারায়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, তাদের ভোটাধিকার আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়েছে। ২০০৩ ও ২০০৮ সালের উচ্চ আদালতের রায়ে উর্দুভাষী বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব তথা ভোটার হওয়ার সব সংশয় দূর হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় লেখক ও গবেষক গওহর নাঈম ওয়ারা, লেখক জাভেদ হুসেন, সাংবাদিক রমেন বিশ্বাস, ভজন কুমার বিশ্বাস, আনোয়ার পারভেজ, রজত কান্তি রায়, নিখিল ভদ্র, শাকিলা পারভীন রোমা, মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত