টানা তিন বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্রীড়াবিদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সব মিলিয়ে পাঁচবার এই তালিকার সবার ওপরে তাঁর নাম উঠল।

৪০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি ফুটবলার গত এক বছরে আয় করেছেন ২৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩০৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

রোনালদোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল খেলোয়াড় স্টিফেন কারি। তাঁর উপার্জন ১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার (১৮২২ কোটি ২০ লাখ টাকা)।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি নেমে গেছেন পাঁচে। গত এক বছরে মেসি আয় করেছেন ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার (১৫৭৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা)। এই সমপরিমাণ অর্থ আয় করেই ২০২৪ সালের তালিকায় তিনি ছিলেন তিনে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের সর্বশেষ হালনাগাদ তালিকায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ফোর্বস এই তালিকা করেছে খেলোয়াড়দের বেতন, বোনাস, পৃষ্ঠপোষক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব আয়ের উৎস বিবেচনায় নিয়ে।

গত এক বছরে রোনালদোর আয় বেড়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিশাল সংখ্যক অনুসারী, যা অনেক আগেই ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে।

তবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সবার ওপরে থাকলেও মাঠে এখন আর সেভাবে সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন না রোনালদো। ২০২৩ সালের শুরুতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিলেও এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

আয়ের তালিকায় শীর্ষ দুইয়ে উঠে আসা স্টিফেন কারি গত মার্চে এনবিএ বাস্কেটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৪০০০ বারের মতো ৩ পয়েন্ট তোলেন।

তিনে থাকা বক্সার টাইসন ফিউরি গত ডিসেম্বরে ওলেক্সান্ডার ইউসিকের কাছে বিশ্ব হেভিওয়েটের শিরোপা হারালেও মাল্টার পর্যটন প্রচার ও নেটফ্লিক্স রিয়েলিটি শো থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

লিওনেল মেসির আয় গত এক বছরে আগের অবস্থাতেই আছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫০ ল খ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় থেকে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আটক রাকায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার দক্ষিণপুরের জানখারটেক গ্রামের প্রয়াত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের সমর্থক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে ক্লাস থেকে বের হয়ে নতুন সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের নিচে আসেন রাকায়েত হোসেন। এ সময় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁকে ধরে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে বেলা তিনটা পর্যন্ত প্রক্টর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. সোহাগ বলেন, ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে হলে ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ আছে। তিনি বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটক করে প্রক্টর কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী আটক করে ওই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন মিত্র বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন শিক্ষার্থীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব, কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কি না। এরপর ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ