বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ফরদাবাদ গ্রামের মধ্যপাড়ার পোড়াবাড়িতে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন– সিয়াম মিয়া, রমিজ মিয়া, আরিফ হোসেন, আক্তার হোসেন, মতিন মিয়া, সুবর্ণা বেগম, দেলোয়ার হোসেন। তাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ সিয়াম ও রমিজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরদাবাদ মধ্যপাড়া পোড়াবাড়ির হানিফ মিয়ার কাছ থেকে পুকুরপাড়ের ২ শতক জমি কিনে নেন মতিন মিয়া; যা নিয়ে হানিফ মিয়ার ছেলে রমিজের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুকুরপাড়ের আমগাছ থেকে মতিন ও তাঁর ভাতিজা আরিফ আম পাড়তে গেলে আক্তারের ছেলে সিয়াম ও চাচাতো ভাই রমিজ বাধা দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের লোকজন। এতে টেঁটাবিদ্ধ হন সিয়াম ও রমিজ। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জায়গা কিনেছি। সেখানে একটি আমগাছ রয়েছে। প্রতি বছর রমিজরা আম নিয়ে যায়। আজকে (শুক্রবার) মতিন চাচা ও আমার ছেলে আরিফ আম পাড়তে গেলে রমিজ ও সিয়াম বাধা দেয় এবং আমার চাচা, আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করে। ছেলের অবস্থা ভালো না। তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে।’

আক্তার হোসেন জানান, জায়গা নিয়ে মতিন মিয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। শুক্রবার মতিনরা জায়গা দখল করতে এলে বাধা দেন তারা। এ সময় মতিন মিয়া ও তাঁর লোকজন টেঁটা নিয়ে হামলা করে। 

তিনি বলেন, ‘হামলায় আমার ছেলে ও  চাচাতো ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। আমি, আমার স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছি। আমার ছেলের ও ভাইয়ের অবস্থা খারাপ, ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।’

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ফরদাবাদে সংঘর্ষের কোনো খবর পাননি তারা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় স ঘর ষ শ ক রব র আম র ছ ল মত ন ম স ঘর ষ আম প ড়

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিদিনের খাবার

বর্ষাকাল মানে আকাশ কালো করা মেঘ, কখনও আবার ঝরঝর বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই খিচুড়ি, মজাদার খাবার খেতে মন চায়। সঙ্গে যদি থাকে ইলিশ মাছ কিংবা মাংসের কোনো পদ তাহলে তো কথাই নেই। বৃষ্টি দিনের মজার কিছু খাবারের রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

পোলাও দিয়ে নারকেল ইলিশ   
উপকরণ: পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল আধা কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ টেবিল চামচ, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, পানি পরিমাণ মতো, ঘি ২ টেবিল চামচ।
নারকেল ইলিশ–উপকরণ: ইলিশ মাছ ৪ পিস, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা ও রসুন বাটা ২ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, লবণ স্বাদমতো, নারকেল কোরানো আধা কাপ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ। বানাবেন যেভাবে: ইলিশ মাছ রিং পিস করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে সামান্য পানি দিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুঁড়া, লবণ, নারকেল কোরানো দিয়ে কষিয়ে নিন। পরে কাঁচামরিচ ফালি, ইলিশ মাছ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন ৬-৭ মিনিট। পরে নামিয়ে রান্না করা মাছ উঠিয়ে রাখুন অন্য বাটিতে। মসলা পোলাওয়ের সঙ্গে মিলিয়ে ওপরে মাছ দিয়ে ৫-৭ মিনিট দমে রান্না করুন। তৈরি হয়ে গেল পোলাও দিয়ে নারকেল ইলিশ।
প্রস্তুত প্রণালি: হাঁড়িতে সয়াবিন তেল গরম হলে এলাচ ও দারচিনি, আদা ও রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, লবণ দিয়ে ২/১ মিনিট রান্না করে পানি দিন। ফুটে উঠলে ধুয়ে রাখা চাল দিয়ে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে তাপ কমিয়ে ঘি দিয়ে আবারও ১৫ মিনিট রান্না করুন। তৈরি হয়ে গেল সাদা পোলাও। 

বৃষ্টিবিলাসী খিচুড়ি   
উপকরণ: পোলাও চাল ১ কেজি, মুগ ডাল ৩০০ গ্রাম, মসুর ডাল ১০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ১ কাপ, ঘি ১/৪ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, পানি আধা লিটার, তেজপাতা দুটি।
প্রস্তুত প্রণালি: মুগ ডাল লালচে করে ভেজে ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করে নিন ৫ মিনিট। এবার ভালোভাবে ধুয়ে যে হাঁড়িতে রান্না করবেন সেই হাঁড়িতে মুগ ডাল সেদ্ধ, চাল, মসুর ডাল, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি, এলাচ ও দারচিনি, লবণ এবং সয়াবিন তেল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে পানি দিন। এবার চুলার তাপ বাড়িয়ে রান্না করুন ঢাকনাসহ। ফুটে উঠলে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন আরও ১০-১২ মিনিট। নামানোর আগে ঘি দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর গরম গরম খাসির মাংসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল বৃষ্টিবিলাসী খিচুড়ি।

মাংস ভরা খিচুড়ি
উপকরণ: চাল ৫০০ গ্রাম, মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ গোল করে কাটা আধা কাপ, তেজপাতা দুটি, আদা ও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ ও ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ, ভাজা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ছাক বাটা ২ টেবিল চামচ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, গরুর মাংস ভুনা আধা কেজি।
ছাক বাটা–উপকরণ: পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, তেজপাতা ৩টি, রসুন কুচি ১/৪ কাপ,  চাল ২ চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জিরা ২ চা চামচ। বানাবেন যেভাবে: কড়াইতে তেল গরম হলে পেঁয়াজ, রসুন, তেজপাতা দিয়ে সোনালি করে ভাজুন। পরে চাল ও জিরা দিয়ে সামান্য ভেজে নিন। পরে বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন। রেডি ছাক বাটা। 
প্রস্তুত প্রণালি: মুগ ডাল ভেজে লালচে করে নিন। এবার লাল চাল ও ভাজা ডাল ধুয়ে হাঁড়িতে বেশি পানি দিয়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে তেজপাতা, ভাজা মরিচ বাটা, হলুদ, ধনিয়া এবং লবণ দিয়ে আবারও রান্না করুন। খিচুড়ির মতো হলে নাড়তে নাড়তে নরম করুন। এরপর গরুর মাংস ভুনা দিন। নামানোর আগে ঘি আর ছাক বাটা দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। তারপর লবণ দেখে নামিয়ে নিন। এবার চামচে করে ঘি ও গন্ধরাজ লেবু দিয়ে পরিবেশন করুন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ