আম পাড়া নিয়ে সংঘর্ষে দু’জন টেঁটাবিদ্ধ
Published: 16th, May 2025 GMT
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ফরদাবাদ গ্রামের মধ্যপাড়ার পোড়াবাড়িতে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন– সিয়াম মিয়া, রমিজ মিয়া, আরিফ হোসেন, আক্তার হোসেন, মতিন মিয়া, সুবর্ণা বেগম, দেলোয়ার হোসেন। তাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ সিয়াম ও রমিজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরদাবাদ মধ্যপাড়া পোড়াবাড়ির হানিফ মিয়ার কাছ থেকে পুকুরপাড়ের ২ শতক জমি কিনে নেন মতিন মিয়া; যা নিয়ে হানিফ মিয়ার ছেলে রমিজের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুকুরপাড়ের আমগাছ থেকে মতিন ও তাঁর ভাতিজা আরিফ আম পাড়তে গেলে আক্তারের ছেলে সিয়াম ও চাচাতো ভাই রমিজ বাধা দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের লোকজন। এতে টেঁটাবিদ্ধ হন সিয়াম ও রমিজ। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জায়গা কিনেছি। সেখানে একটি আমগাছ রয়েছে। প্রতি বছর রমিজরা আম নিয়ে যায়। আজকে (শুক্রবার) মতিন চাচা ও আমার ছেলে আরিফ আম পাড়তে গেলে রমিজ ও সিয়াম বাধা দেয় এবং আমার চাচা, আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করে। ছেলের অবস্থা ভালো না। তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে।’
আক্তার হোসেন জানান, জায়গা নিয়ে মতিন মিয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। শুক্রবার মতিনরা জায়গা দখল করতে এলে বাধা দেন তারা। এ সময় মতিন মিয়া ও তাঁর লোকজন টেঁটা নিয়ে হামলা করে।
তিনি বলেন, ‘হামলায় আমার ছেলে ও চাচাতো ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। আমি, আমার স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছি। আমার ছেলের ও ভাইয়ের অবস্থা খারাপ, ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।’
বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ফরদাবাদে সংঘর্ষের কোনো খবর পাননি তারা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় স ঘর ষ শ ক রব র আম র ছ ল মত ন ম স ঘর ষ আম প ড়
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় পুতিনকে একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য কোনো দেশ নয়।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, ওই সংবিধির আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো ওই চুক্তিকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুসমর্থনের জন্য পদক্ষেপ নেয়নি।
বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পৃক্ততার অবসান ঘটান। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।
সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা আমেরিকার মাটিতে নেই।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে আইসিসির প্রতি বৈরিতা করছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করায় আইসিসির ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
আইসিসির এখতিয়ারের এই ঘাটতিই পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কাকে বেছে নেওয়ার একটি কারণ হতে পারে।
অবশ্য আইসিসির স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করা হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি। সে জন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।
শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন কেবল ততটাই কার্যকর হয়, যতটা দেশগুলোর সরকার এবং তাদের নেতারা কার্যকর করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং এই সাক্ষাৎ তাঁর পছন্দ মতো করতে তাঁকে আটকানোর মতো কিছুই নেই।