৭২৫ বছর আগের ম্যাগনা কার্টার মূল কপি হার্ভার্ডে
Published: 17th, May 2025 GMT
ম্যাগনা কার্টাকে মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মূল কপি পাওয়া দুষ্কর। এই দলিলের মূল কপি প্রায় ৮০ বছর ধরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু এই কপিকে ২০২৩ সালের আগপর্যন্ত অনুলিপি বা নকল বলে ধারণা করা হয়েছিল।
১৯৪৬ সালে হার্ভার্ড ল স্কুল লাইব্রেরি ২৭ ডলার ৫০ সেন্টে ম্যাগনা কার্টার একটি কপি কেনে। লন্ডনের বই ব্যবসায়ী সুইট অ্যান্ড ম্যাক্সওয়েল থেকে কেনা এই কপি ছিল বিবর্ণ ও দাগযুক্ত। মূল নয়, অনুলিপি হিসেবেই দলিলটি কেনা হয়েছিল।
সুইট অ্যান্ড ম্যাক্সওয়েল কর্তৃপক্ষ বিক্রির এক মাস আগে সথেবির নিলাম থেকে কিনেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সাবেক এক বৈমানিক সথেবির কাছে মাত্র ৪২ পাউন্ডে এটি বিক্রি করেছিলেন। এই বৈমানিক এই কপিকে ভুলবশত ১৩২৭ সালের বলে জানিয়েছিলেন, যা কিনা ছিল রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ডের সময়ের।
কেনার পর ম্যাগনা কার্টার কপিটি তালিকাভুক্ত করে হার্ভার্ড ল স্কুল লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। অনুলিপি হিসেবেই তা তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপর কেটে যায় প্রায় ৮০ বছর।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কিংস কলেজ লন্ডনের ইতিহাসবিদ ডেভিড কার্পেন্টার অনলাইনে হার্ভার্ডের কপিটি পর্যালোচনা করেন। বিশ্লেষণ এবং মিলিয়ে দেখার পর তিনি বিস্মিত হয়ে যান। এটি যে অনুলিপি নয়, দুষ্প্রাপ্য মূল সংস্করণ!
কার্পেন্টার বিষয়টি দ্রুত ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গোলিয়ার অধ্যাপক নিকোলাস ভিনসেন্টকে জানান। তাঁরা দুজনেই নিশ্চিত করেন, এটি অনুলিপি নয়, ম্যাগনা কার্টার মূল কপি। তবে ১২১৫ সালেরটি নয়। এটি ১৩০০ সালের ম্যাগনা কার্টার একটি মূল কপি, যা রাজা প্রথম এডওয়ার্ডের সংস্করণ হিসেবে পরিচিত। এই হিসাবে মূল দলিলটির বয়স ৭২৫ বছর পার হয়ে গেছে।
ম্যাগনা কার্টা প্রথম গৃহীত হয়েছিল ১২১৫ সালে রাজা জনের আমলে। বিশ্বজুড়ে সাংবিধানিক অধিকারের ভিত্তি হিসেবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ১২১৫ সালের ম্যাগনা কার্টার চারটি কপি সংরক্ষিত আছে। ১৩০০ সালের সংস্করণের আছে সাতটি। এর মধ্যে হার্ভার্ডে একটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে ঠেকেছে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। এরপর ওই মাসের ১৫ তারিখ সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার হয়। এছাড়া সব সময়ই এখনকার চেয়ে রিজার্ভ কম ছিল বলে জানা গেছে।
গ্রস রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মেনে হিসাব প্রকাশের পর থেকে যা সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০২৩ সালের জুনে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে এখন বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান. রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ। যে কারণে চলতি অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। আবার আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পেয়েছে।