মাদারীপুরে পিকনিকের ট্রলার ডুবে চালক নিখোঁজ, উদ্ধারে অভিযান
Published: 17th, May 2025 GMT
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের বাহেরচর কাতলা এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদে পিকনিকের ট্রলার ডুবে সুমন সিপাহী (৩৫) নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে ট্রলারে একটি পিকনিকের আয়োজন করা হয়। রাতে ফেরার পথে বাহেরচর কাতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে পিকনিকের ট্রলারটি ধাক্কা লাগে। এতে পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় সবাইকে উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে ট্রলার চালক কালু সিপাহীর ছেলে সুমন সিপাহী। এদিকে এই ঘটনায় অসুস্থ কয়েকজনকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় আজ (শনিবার) সকালে নিখোঁজ সুমনকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার জাহেদুল ইসলাম ভুইয়া জানান, ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল চেষ্টা করছে উদ্ধারের। সুমনকে না পাওয়া পর্যন্ত চলবে এই অভিযান।
ঢাকা/বেলাল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলম ও পি কে হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন
রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড (বর্তমানে আভিভা ফাইন্যান্স লিমিটেড) থেকে প্রায় ২৭০ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ এবং পরবর্তী সময়ে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানান্তর করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করা হয় মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোংয়ের নামে। পরে এই অর্থ মেরিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেড ও এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করা হয়। এরপর অর্থটি জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ঘুরিয়ে শেষ পর্যন্ত এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
তৃতীয় মামলায় মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোংয়ের নামে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একই প্রক্রিয়ায় এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডে স্থানান্তর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ (৫৯), পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান (৪৯), পরিচালক শাহানা ফেরদৌস (৪৯), রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ইভিপি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রাশেদুল হক (৫৪), ম্যানেজার ও করপোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান নাহিদা রুনাই (৪৪), এসভিপি ও মেম্বার, ক্রেডিট কমিটির কাজী আহমেদ জামাল (৫৯), সাবেক ডেপুটি ম্যানেজার, করপোরেট ফাইন্যান্স জুমারাতুল বান্না (৩৯), মেরিন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ (৫১), পরিচালক টিপু সুলতান (৪৪), পরিচালক মো. ইসহাক (৬৯), মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম মোস্তাফা (৬০) ও মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (৪২) এবং মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে প্রথম ১২ জনকে ৩টি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ গ্রহণের পর তা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ঘুরিয়ে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন। এর মাধ্যমে একদিকে রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট করা হয়েছে, অন্যদিকে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘন হয়েছে।