এক সপ্তাহের মধ্যে সাম্য হত্যার ঘটনা উদঘাটিত হবে, আশা ডিএমপি কমিশনারের
Published: 17th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে হত্যার ঘটনা উদঘাটিত করার আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘তদন্ত একটি জটিল কাজ। আমরা আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনা উদঘাটিত হবে। তারপর আমরা চার্জশিট দিয়ে এই অপরাধের দ্রুততম সময়ে বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইবুনালে পাঠিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য ব্যবস্থা নেব।’
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য লাউঞ্জে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত একটি জটিল কাজ। গভীর রাতে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যারা জড়িত, তারা আহত ছিল। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তাদের আটক করেছি। তাদেরকে আদালত রিমান্ড দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তী কার্যক্রম সাতদিনে শেষ করে আমরা চেষ্টা করব; পুলিশের তরফ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিফ করার। আমাদের আন্তরিকতার কমতি নেই। অনেক দূর এগিয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে অনেক কথা বলতে পারছি না।
ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। যেহেতু তারা আহত ছিল, তাই কোথাও না কোথাও চিকিৎসা নেবে, এই ধারণায় আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে একজনকে শমরিতা হাসপাতাল, অন্যজনকে বিআরবি হাসপাতালে পাই।
তিনি আরও বলেন, আরেকজন তাদের সঙ্গে ছিলেন বলে তাদের থেকে জানতে পারি। পরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাকে ধরা হয়। যেহেতু তাদের ওপর একটি মব হওয়ার শঙ্কা ছিল, তাই তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে গিয়ে ট্রিটমেন্ট দেই।
রমনা জোনের ডিসি জানান, যে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে, আমরা শুধু তাদেরকে নিয়েই বসে নেই। আমরা সমস্ত দিক থেকেই কাজ করছি। বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছি। আগামীকাল গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে পেলে, তাদের থেকে পাওয়া তথ্য নিবিড়ভাবে খুঁটিয়ে দেখব।
আলোচনায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ অংশ নেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ত কল জ উপ চ র য তদন ত ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে