লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবির দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলেন ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য অনুপ কুমার (২৯) ও মনিরুজ্জামান (২৯)। তাঁদের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজিবি জানায়, গতকাল গভীর রাতে মোহাম্মদপুর সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মোটরসাইকেল নিয়ে সীমান্তে যায় দুই চোরাকারবারি। খবর পেয়ে নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার হাসিবুর রহমানের নেতৃত্বে টহল দলের সদস্যরা অভিযান চালান। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ভারত থেকে পাচার করা মাদকের ব্যাগ পিঠে নিয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় দুই চোরাকারবারি। পরে বিজিবি মোটরসাইকেলটি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় পথ রোধ করে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করে চোরাকারবারিদের একটি দল। এতে দুই বিজিবি সদস্য আহত হন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

জানতে চাইলে পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ র ক রব র সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসা পেয়ে বনে ফিরল দলছুট হাতি

দ্বিতীয় দফায় দলছুট বন্যহাতির চিকিৎসা দিয়েছে বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ। গতকাল রোববার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের বুরুঙ্গা কালাপানি এলাকায় গহিন জঙ্গলে হাতিটির চিকিৎসা দেওয়া হয়। 
১ মে হাতিটির পায়ের ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর ক্ষত প্রায় ৮০ শতাংশ সেরে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বন বিভাগ জানায়, একটি বন্যহাতি এক পায়ে কয়েকটি গভীর ক্ষত নিয়ে কাটাবাড়ী পাহাড়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা বন বিভাগকে জানায়। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে ১ মে প্রথম দফায় হাতিটির চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি দল ও স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকরা যৌথভাবে হাতিটির চিকিৎসা দেন। পরে হাতিটি পাহাড়ের গহিনে ফিরে যায়। রোববার দ্বিতীয় দফায় খোঁজ নিয়ে হাতির অবস্থান নিশ্চিত করে পুনরায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বনে ফিরে গেছে হাতিটি।
রোববার হাতিটির চিকিৎসায় অংশ নেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসেন সাগর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী প্রমুখ।
মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী জানান, ১০-১২ বছর বয়সী হাতিটির সামনের ডান পায়ে বল্লমের আঘাতের গভীর ক্ষত ছিল। এ কারণেই হাতিটি দলছুট হয়ে পড়েছিল এবং খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জঙ্গলের ভেতরে একাই চলাফেরা করছিল। বন বিভাগের পক্ষ থেকে হাতিটির ওপর নজরদারির পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ