রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের সড়ক ছেড়ে দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তারা শাহবাগ অবরোধ করে। পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধের পর ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর শাহবাগ মোড় দিয়ে আবার যান চলাচল শুরু হয়েছে। অবরোধ চলাকালে ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেন। বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা শাহবাগে অবস্থান করেন।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন ছাত্রদলের এই অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। শাহবাগ ছাড়ার আগে নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রদলের আর কোনো নেতা–কর্মীর ওপর যদি আঘাত করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন নাছির উদ্দীন। শাহরিয়ার হত্যার এতদিন পরেও কেন ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি, সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

শাহরিয়ার হত্যা মামলার তদন্তে ‘গাফিলতি’র প্রতিবাদ এবং ‘প্রকৃত’ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে গত রোববার বিকেলেও পৌনে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্রদল। সেই কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। শাহরিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারে সরকারের সদিচ্ছার অভাব দেখা গেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যার বিচার চেয়ে আবার শাহবাগ অবরোধ ছাত্রদলের১ ঘণ্টা আগে

গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তর করছিলেন।

শাহরিয়ার হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তিনজনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র র শ হব গ হত য র অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা