চাঁদার জন্য বাজারে মাইকিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শিবপুরে জয়নগর ইউনিয়নের কামরাব বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতা ও বাজার কমিটির সভাপতি জজ মিয়া তাঁর লোক দিয়ে এই মাইকিং করান বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাইকিং করার সময় বলা হয়, ‘আগামীকাল বাজারের সব দোকানদারদের কাছ থেকে এ বছরের ইজারার টাকা নেওয়া হবে। সবাইকে টাকা জোগাড় করে রাখার জন্য বাজার কমিটির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হইল।’ এভাবে মাইকিং করে টাকা চাওয়া দোকানিদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জজ মিয়া বলেন, ‘আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাজার ইজারা এনেছি। অস্থায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে খাজনা নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। স্থায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য কোনো মাইকিং করা হয়নি।’
স্থায়ী দোকানি আসাদ মিয়া জানান, ৫ বছর ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছেন তিনি। এ পর্যন্ত ইজারা বাবদ কোনো টাকা দিতে হয়নি। পাহারা বাবদ ৩০০ করে টাকা দিয়েছেন। এবারই প্রথম সব দোকানির কাছ থেকে ইজারার টাকা নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
আরও কয়েক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, জজ মিয়া তাঁর লোকজন দিয়ে আগের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়িয়ে অস্থায়ী দোকানিদের কাছ থেকে খাজনা নিচ্ছেন। কম দিতে চাইলেই তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। স্থায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য নিয়মিত তাগাদা দিয়ে আসছেন।
উপজেলা বিএনপির সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক রিকাবদার বলেন, জজ মিয়া বিএনপির কর্মী হলেও অন্যায় করতে পারবেন না। বিএনপি অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দেয় না।
জয়নগর ইউনিয়নে প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কে এম রায়হানের ভাষ্য, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। যদি মাইকিং করে টাকা চেয়ে থাকেন তাহলে অন্যায় করেছেন। এভাবে টাকা নিতে পারেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি।
শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বাজার কমিটির সভাপতি মোছা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ ইজ র র ট ক দ ক নদ র র ইজ র অন য য় জজ ম য় উপজ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।