গ্যালারি, মাঠ, ধারাভাষ্যকক্ষ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডাগআউট—গতকাল রাতে ইতিহাদের সবকিছুই কেভিন ডি ব্রুইনাময়। কেউ যদি বলে গত রাতে পুরো ম্যানচেস্টার শহরটাই ছিল ডি ব্রুইনাময়, তাতেও কোনো বাড়াবাড়ি হবে না।

একজন কিংবদন্তি যখন বিদায় নেবেন, শহরটা তাঁর হয়ে যাওয়াটাই তো স্বাভাবিক। হয়েছেও তা–ই। এমনকি ডি ব্রুইনার বিদায়ে পেপ গার্দিওলার কান্নাও ফুটবলপ্রেমীদের মনে রয়ে যাবে আরও অনেক দিন। যে দিনটিকে গার্দিওলা নিজেই স্বীকৃতি দিলেন ‘কষ্টের দিন’ হিসেবে।

গত প্রায় এক দশক প্রিমিয়ার লিগে রাজত্ব করেছে ম্যান সিটি। এই এক দশকে শেষ ৮ মৌসুমে ৬টি লিগ শিরোপাই জিতেছে সিটি। যেখানে ৪টি শিরোপা একটানা জিতেছে ক্লাবটি। আর এই ৬ শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক ডি ব্রুইনা। ৬টি প্রিমিয়ার লিগ ছাড়াও যিনি একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি এফএ কাপ এবং পাঁচটি লিগ কাপ শিরোপা জিতেছেন।

আরও পড়ুনমৌসুম শেষেই সিটি ছাড়বেন ডি ব্রুইনা০৪ এপ্রিল ২০২৫

গার্দিওলার অধীন পুরো সময়টাতে ডি ব্রুইনা ছিলেন সিটির মিডফিল্ডের ‘নিউক্লিয়াস’। লম্বা সময় ধরে পুরো দল খেলেছে তাঁকে ঘিরে। এই সময়ে কার্যকারিতা এবং নান্দনিকতার অনন্য এক দৃষ্টান্তও হয়ে উঠেছিলেন এই বেলজিয়ান তারকা। এমন ফুটবলারকে বিদায় দেওয়া তো সহজ ছিল না! কিন্তু সব ভালো কিছুই নাকি কখনো না কখনো শেষ হতে হয়, সে নিয়ম মেনেই অবশেষে সিটিতে নিজের শেষ ম্যাচটা খেলে ফেললেন ৩৩ বছর বয়সী ডি ব্রুইনা।

সিটির হয়ে ডি ব্রুইনার অভিষেক হয় ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে। লিগে ক্লাবটির হয়ে সব মিলিয়ে ২৮৪ ম্যাচে করেছেন ৭২ গোল সঙ্গে আছে ১১৯টি গোলে সহায়তাও। আর সব মিলিয়ে সিটির হয়ে ৪২১ ম্যাচে তাঁর গোল ১০৮টি এবং অ্যাসিস্ট ১৭৭টি।

ডি ব্রুইনাকে বিদায় জানাতে আয়োজনে অবশ্য কোনো ঘাটতি রাখেনি সিটিজেনরা। পুরো স্টেডিয়াম অন্ধকার করে দেখানো হলো তাঁর জন্ম দেওয়া স্মরণীয় মুহূর্তগুলো। সেই অন্ধকার ছিঁড়ে এক সময় আলো হয়ে হেঁটে আসলেন ডি ব্রুইনা নিজে। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুনসংবাদকর্মীকে ‘স্টুপিড’ বললেন ডি ব্রুইনা, সংবাদকর্মী তাঁকে বললেন ‘নষ্ট ছোঁড়া’০২ জুলাই ২০২৪

এ সময় দর্শকদের মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটের আলোর সঙ্গে মাঠের আলো মিলেমিশে একাকার হয়ে তাঁকে যেন বুকে টেনে নিল। ডি ব্রুইনাকে অভিবাদন জানাতে দুই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্লাবের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ডি ব্রুইনার অবদানকে স্মরণ রাখতে ইতিহাদের বাইরে তাঁর ভাস্কর্য বানানোর ঘোষণাও দিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।

স্ত্রী–সন্তানদের সঙ্গে ডি ব্রুইনা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র ইন

এছাড়াও পড়ুন:

হাদিকে গুলির ঘটনায় কে এই ফয়সাল করিম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গতকাল পুরানা পল্টনে গুলি করা হয়েছে। প্রথম আলো খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, ফয়সাল করিম নামের এই ব্যক্তি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হয়েছিলেন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ