আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ হুঁশিয়ারি দেন।

নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগের তিন দিন ও পরের সাত দিন সার্বক্ষণিক সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান। 

তিনি বলেন, “নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার রেট চার্ট প্রদর্শন বাধ্যতামূলক।” 

সদরঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে ইজারাদারদের কোনো অতিরিক্ত চার্জ না নিতে এবং যাত্রীদের হয়রানি না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের আগে তিন দিন ও পরে তিন দিন সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে চলাচল করতে পারবে না। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্যের ট্রাক পারাপারের অনুমতি থাকবে।”

নৌপথে দুর্ঘটনা মোকাবিলায় উদ্ধারকারী জলযান প্রস্তুত রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবং জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।”

তিনি আরও জানান, দূরপাল্লার লঞ্চে চারজন করে আনসার সদস্য নিয়োগে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি থাকলে মালিকপক্ষকে দায় নিতে হবে। লঞ্চ বা ফেরিঘাটে কর্মরত স্টাফদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক।

অপরাধপ্রবণ অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও বরিশালের মেঘনা নদী নজরদারি আওতায় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব এলাকায় কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনীর টহল জোরদার করা হবে। ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক ৩০ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখতে হবে। রাস্তার ওপর কোনো বাস দাঁড় করানো যাবে না। পুলিশ কঠোরভাবে মনিটর করবে এবং প্রয়োজনে রেকার দিয়ে সরিয়ে দেবে।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরকে সময়মতো সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার অনুরোধ জানান উপদেষ্টা।

এছাড়া, প্রয়োজনীয় ড্রেজিং সম্পন্ন হওয়ার পর আগামীকাল থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল পুনরায় চালু হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট র বহন

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে তীব্র যানজট

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে আজও (১৯ মে) তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গুলিস্তান মাজার এলাকা ও আশপাশের সড়ক বন্ধ করে তারা এই কর্মসূচি পালন করায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। 

বিক্ষোভকারীরা গুলিস্তান থেকে পুলিশ হেড কোয়ার্টার পর্যন্ত এলাকা দখলে রেখে ট্রাক ও দড়ি দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। নগর ভবনের সামনে ব্যানার ও মাইক নিয়ে চলে স্লোগান, সংগীত পরিবেশন এবং ছোট ছোট মিছিল।

‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে ইশরাকপন্থীরা আজ টানা ষষ্ঠ দিনের মতো এই কর্মসূচি পালন করলেন। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার হস্তক্ষেপেই আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারছেন না ইশরাক হোসেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, নগর ভবনে অস্থায়ী দপ্তর থাকা উপদেষ্টা সেখানে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করলেও টানা আন্দোলনের কারণে সম্প্রতি তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যত দিন না ইশরাককে শপথ করানো হচ্ছে, তত দিন আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিরও তারা হুমকি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে শপথ আয়োজনের অনুরোধ জানায়। তবে এখনো পর্যন্ত শপথ অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা রয়েছে কি না, তা জানতে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। 

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে তীব্র যানজট