‘ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রীবহন করলে কঠোর ব্যবস্থা’
Published: 21st, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদযাত্রায় নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ হুঁশিয়ারি দেন।
নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগের তিন দিন ও পরের সাত দিন সার্বক্ষণিক সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, “নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি লঞ্চে নির্ধারিত ভাড়ার রেট চার্ট প্রদর্শন বাধ্যতামূলক।”
সদরঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটে ইজারাদারদের কোনো অতিরিক্ত চার্জ না নিতে এবং যাত্রীদের হয়রানি না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের আগে তিন দিন ও পরে তিন দিন সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে চলাচল করতে পারবে না। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্যের ট্রাক পারাপারের অনুমতি থাকবে।”
নৌপথে দুর্ঘটনা মোকাবিলায় উদ্ধারকারী জলযান প্রস্তুত রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবং জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।”
তিনি আরও জানান, দূরপাল্লার লঞ্চে চারজন করে আনসার সদস্য নিয়োগে মালিকপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি থাকলে মালিকপক্ষকে দায় নিতে হবে। লঞ্চ বা ফেরিঘাটে কর্মরত স্টাফদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক।
অপরাধপ্রবণ অঞ্চল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও বরিশালের মেঘনা নদী নজরদারি আওতায় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব এলাকায় কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনীর টহল জোরদার করা হবে। ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়ক ৩০ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখতে হবে। রাস্তার ওপর কোনো বাস দাঁড় করানো যাবে না। পুলিশ কঠোরভাবে মনিটর করবে এবং প্রয়োজনে রেকার দিয়ে সরিয়ে দেবে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরকে সময়মতো সঠিক পূর্বাভাস দেওয়ার অনুরোধ জানান উপদেষ্টা।
এছাড়া, প্রয়োজনীয় ড্রেজিং সম্পন্ন হওয়ার পর আগামীকাল থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল পুনরায় চালু হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট র বহন
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে আশুরায় তাজিয়া মিছিল, ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম
কালো পোশাক পরে খালি পায়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম করতে করতে চট্টগ্রামে বের করা হয়েছে তাজিয়া মিছিল। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সদরঘাট হোসাইনিয়া ইমামবারগাহ থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলে শতাধিক শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী অংশ নেন।
ঐতিহাসিক এ মিছিলের নেতৃত্ব দেন হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আমজাদ হোসেন। এর আগে সকালে বিশাল মাসায়েব মজলিশ অনুষ্ঠিত হয় সদরঘাট হোসাইনিয়া ইমামবারগাহে। মাসায়েব মজলিশে ইয়াজিদি বাহিনীর হাতে হজরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর সঙ্গীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মর্মস্পর্শী বর্ণনা তুলে ধরেন পেশ ইমাম মাওলানা আমজাদ হোসেন।
স্মরণ করা হয় কারবালায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা। ‘ইয়া হোসেন ইয়া হোসেন’ বলে বুক চাপড়ে মাতম করতে থাকেন আবেগাপ্লুত মুসল্লিরা। পেশ ইমামের বক্তব্য শেষ হতে না হতেই হাত তুলে স্লোগান দিতে থাকেন সবাই। এরপর খালি পায়ে শত শত নারী পুরুষ শিশু কিশোর রাস্তায় নামেন।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বের করা হয় তাজিয়া মিছিল। এ সময় ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ বলে মাতম করেন অংশগ্রহণকারীরা। আজ দুপুরে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায়