‘ভাইরে ভাই, কী বলব! নোয়াখালী থেকে ফ্রান্সে এসে অটোগ্রাফ দিলাম’
Published: 22nd, May 2025 GMT
‘ভাইরে ভাই, কী বলব! নোয়াখালী থেকে ফ্রান্সে এসে অটোগ্রাফ দিলাম। জীবনে এভাবে অটোগ্রাফ দেব, কোনো দিন কল্পনা করিনি। তাদের আন্তরিকতায় আমি অবাক,’ বললেন তরুণ আল আমিন। উৎসবে অংশ নিতে গত শনিবার তিনি ফ্রান্সে পৌঁছান। প্রথমবার কান–যাত্রায় পথ চিনতে অন্যদের সহায়তা নিয়েছেন। এ সময় কানে তাঁর অভিনীত সিনেমা মনোনীত হওয়ায় অনেকেই তাঁকে অভিবাদন জানান।
এই তরুণ অভিনেতা বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আমাকে অনেকেই এশিয়ান বলছিলেন। নিজেই আগ্রহ নিয়ে তাঁদের কাছে পরিচয় দিয়ে কানে যাওয়ার পথের সহযোগিতা চাইলাম। কয়েকজন অটোগ্রাফ নিলেন। একজন বললেন, তুমি তো তারকা। তুমি যখন অনেক বড় তারকা হবে, তখন অনেক টাকায় এটি বিক্রি করব (হাসি)। আমাকে সবাই যে অভিনেতা হিসেবে সম্মান দিয়েছেন, এটাই আমার সার্থকতা।’
যেভাবে ‘আলী’তে
নোয়াখালীতে থাকেন আল আমিন। সেখানেই গান দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু। একই সঙ্গে নারী ও পুরুষের কণ্ঠে গান গাইতে পারেন। এই দ্বৈত কণ্ঠের গাওয়া গানের ভিডিও দেখেই ফোন দিয়ে তাঁকে অভিনয়ের কথা বলেন কাস্টিং ডিরেক্টর। শুরুতে এফডিসি ঘরানার কোনো সিনেমা ভেবে তেমন একটা আগ্রহ দেখাননি। ‘ভাবছিলাম অভিনয় করব না। পরে পরিচালকের ফেসবুক প্রোফাইল দিতে বললাম। তখন দেখলাম আদনান আল রাজীব। তাঁর নাটক দেখা ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যাই। এটাই ছিল আমার প্রথম অভিনয়,’ বলেন আল আমিন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’