বিশ্ব বাণিজ্যে পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ গন্তব্য। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সম্মিলিত উদ্যোগ থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি। 

বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক করিডোরের সম্ভাবনা ও কৌশলগত গুরুত্ব বিষয়ে সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ (এসসিবি) আয়োজিত অর্থনৈতিক ব্রিফিংয়ের বক্তারা এ কথা বলেন। এসসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানাে হয়।

অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোতে এখন ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার আর সম্মিলিত উদ্যোগ থাকলে, বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে রূপ নিতে পারে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জাপানের সিইও ইউসুকে আসাই বলেন, জাপানের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রস্তুত আছে। ইতোমধ্যে ৩০০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি এখানে কাজ করছে।

বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটি স্থিতিশীল ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা। যেটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করবে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি, জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্দো, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি চিফ রিস্ক অফিসার এনামুল হক  প্রমুখ। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না: মামুনুল হক

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, গত ১৬ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য দরজা খুলে দেওয়ার মানে হলো অপরাধীদের দায়মুক্তি ও জনগণের  প্রতি অবিচার। তারা এই কার্যালয় স্থাপন করতে দেবে না।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার অবিলম্বে সরে না এলে হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেবে। জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার বাস্তবে ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থি পশ্চিমা আদর্শের হাতিয়ার। খাল কেটে কুমির আনার অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ