চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা গোপনে সংবাদ পেয়ে খাঁচাবন্দি চারটি টিয়া পাখি অবমুক্ত করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালিনগর গ্রামের দুটি বাড়ি থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।

এদিন নানা আয়োজনে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করে চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ)।

টিয়া পাখি অবমুক্ত করার সময় সিংড়ার ইউএনও মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুণ্ডু, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনটি এক যুগ ধরে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্গম বিলের পাখি, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তারা ছুটে চলেছেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে সংগঠনের চলনবিল গেট কার্যালয়ে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। বেলা ১১টায় কলম ইউনিয়নের নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ করা হয়। দুপুরে কালিনগরের দুটি বাড়ি থেকে খাঁচাবন্দি চারটি টিয়া পাখি উদ্ধারের পর জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।

ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, চলনবিলের পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই পরিবেশকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। জীববৈচিত্র্য ও সরকারি জলাভূমি রক্ষায় প্রশাসনও তৎপর। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম চলনব ল রক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

আমাদের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা আজো পূরণ হয়নি: সারজিস আলম

৫ আগস্ট এই দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে এনসিপির জুলাই পথযাত্রা শেষে নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে পার্টির অন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

সারজিস আলম বলেন, “২০২৪ এর জুলাইয়ের পর নতুন জুলাই এসেছে। কিন্তু আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। মনের ভেতরে এখনো আফসোস কাজ করে। গত ৫ আগস্টে এই দেশকে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম, সেগুলো এখনো পূরণ হয়নি। কিন্তু যে শহীদরা জীবন দিয়ে গেল, যে সহযোদ্ধারা রক্ত দিল, তাদের আমানত আমরা খেয়ানত করতে পারি না। তাই যতদিন না আমাদের দেখা স্বপ্নগুলো পূরণ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই জুলাই চলবে। আমাদের এই লড়াই চলবে। এই উদ্দেশ্যে ৬৪টি জেলায় আমরা যাচ্ছি।”

আরো পড়ুন:

একটি দলের কারণে মৌলিক সংস্কার আটকে যাচ্ছে: আখতার

চিপায় পড়ে ডিসি-এসপিরা ভাল ব্যবহার করছেন: হাসনাত

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সময় আমরা দেখেছি। আপনি সবাইকে নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলা যাবে না। শেখ হাসিনা ফেরেস্তাদেরও ওপরে। ঠিক এই কারণে ফেরেস্তো থেকে ফেরাউন, ফেরাউন থেকে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে। আগামীর বাংলাদেশে যত বড়ই দল হোক, যত বড় নেতা কিংবা নেত্রী হোক, কাউকেই প্রশ্নের উর্দ্ধে রাখা হবে না।”

পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করে তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে পুলিশ, ডিসি থেকে এসপি, ওসি থেকে ইউএনও সবাইকে একটা কথা স্পষ্ট করে বলে রাখি, যদি আপনি জেলা-উপজেলার ডিসি, এসপি, ওসি বা ইউএনও হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে ভাল। আর যদি আপনি কোনো দলের হয়ে ওঠেন, তাহলে আওয়ামী লীগের কথা স্মরণ করুন। আপনার অবস্থাও ওই একই রকম হবে। কোনো চাটুকারের আর জায়গা হবে না এই বাংলাদেশে।”

এই ছাত্রনেতা বলেন, “এই উত্তরাঞ্চলে আমরা এতদিন যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, যদি সেটা এনসিপিও হয়, আমরা এই বৈষম্য মেনে নেব না। চাঁদাবাজ, দখলবাজের বড় পরিচয় সে চাঁদাবাজ, দখলবাজ। যে সিন্ডিকেট চালায়, তার সবচেয়ে বড় পরিচয় সে রক্তচোষা। এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। এদের ছেড়ে দিলে হাসিনার মতো আরো স্বৈরাচার এই দেশে তৈরি হবে। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার তৈরি হতে দেব না।”

এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মুখ্য, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা আজো পূরণ হয়নি: সারজিস আলম