ঢাকায় শেষ হলো বিডিএফ ডায়ালজিক বিতর্কের গ্র্যান্ড স্লাম
Published: 24th, May 2025 GMT
ঢাকায় এক বর্ণিল পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের (বিডিএফ) ডায়ালজিক-২০২৫ এর স্কুল-কলেজ অধ্যায়। দুই দিনব্যাপী এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দেশের ৪০টি স্কুল ও কলেজের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিকরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডিএফ-এর সভাপতি প্লাবন গঙ্গোপাধ্যায়, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড.
এ বছরের প্রতিযোগিতায় একাধিক ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা প্রদান করা হয়েছে। ওপেন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ এবং রানার্সআপ হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। স্কুল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ হয়েছে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বিতর্কের বিকেন্দ্রীকরণ এবং নতুন কণ্ঠস্বরকে এগিয়ে নিতে বিডিএফ-এর অন্তর্ভুক্তিমূলক লক্ষ্যের বাস্তবায়নে এবছরের ডায়ালজিকে নবিশ ক্যাটাগরিতে বিশেষ আয়োজন করা হয়। নবিশ ক্যাটাগরিটি নতুন ও উদীয়মান দলগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে মেধা প্রদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু করা হয় — যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরিদপুর জিলা স্কুল। এ ক্যাটাগরিতে টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠবক্তা হন সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মুশফিকুর রহমান সিফাত।
অনুষ্ঠানে প্লাবন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ডায়ালজিক কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি আন্দোলন। এটি এমন এক ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথ যেখানে তরুণরা কঠিন প্রশ্ন এড়িয়ে যায় না, বরং সম্মান, সাহস ও চিন্তার মাধ্যমে উত্তর দেয় এবং নাগরিক দায়িত্ববোধকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে। আমাদের লক্ষ্য শুধু দক্ষ বিতার্কিক তৈরি করা নয়, বরং ভালো মানুষ ও সচেতন নাগরিক গড়ে তোলা।’
প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে তরুণদের মধ্যে যে বৌদ্ধিক শৃঙ্খলা দেখা গেছে তা অনন্য। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে আরও বিনিয়োগ করতে হবে যাতে তরুণদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।’
জিহাদ আল মেহেদী বলেন, ‘তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্যোগ হিসেবে ডায়ালজিক প্রমাণ করছে যে বিতর্ক কেবল প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি নাগরিক আন্দোলন।’
এক্সপ্রেস ইভেন্টস-এর নির্বাহী পরিচালক উৎপল কর্মকার বলেন, ‘তরুণদের এই মঞ্চ দেওয়া হলে তারা শুধু কথা বলে না- তারা নেতৃত্ব দেয়। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব তর ক অন ষ ঠ ন ব ড এফ
এছাড়াও পড়ুন:
মনোনয়ন দৌড়ে এবারও হেরে গেলেন মনির খান
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান— যার কণ্ঠে প্রেম, ব্যথা আর প্রার্থনার সুরে ভেসেছে একটি প্রজন্ম। তিনবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী শুধু গানে নয়, রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মনির খান। ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন এই কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি তার। সেই আসনে দল মনোনয়ন দিয়েছে মেহেদী হাসান রনিকে।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা
মনোনয়ন না পেলেও মনির খান প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইতিবাচকভাবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “অভিনন্দন মেহেদী হাসান রনি, ঝিনাইদহ-৩-এ বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী। শুভকামনা রইল।”
শিল্পীর এই পোস্টে প্রশংসা করেছেন ভক্তরা। রাজনীতিতেও তার সংযম ও সৌজন্যতা তুলে ধরেছেন অনেকেই।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকাদের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষপর্যন্ত বিএনপির ঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় কোনো শিল্পী বা অভিনেতার নাম নেই। মনির খানের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশি আলোচিত ছিলেন নায়ক উজ্জ্বল ও হেলাল খান, কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও বেবী নাজনীন।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল